নিউজ ডেস্ক: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবিলায় বেশ কঠোর অবস্থানে পর্তুগাল। দেশটিতে ভ্রমণে করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি স্থগিত করা হয়েছে বর্ষবরণের সব কনসার্ট। এ ছাড়া বড়দিন উদযাপনের ক্ষেত্রেও আসতে পারে বিধিনিষেধ। সময়টিভি
গত ৩০ নভেম্বর একটি ক্লাবের ১৩ ফুটবলারের শরীরে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পরই নড়েচড়ে বসে পর্তুগিজ প্রশাসন। আইসোলেশনে নেওয়া হয় তাদের সংস্পর্শে আসা শতাধিক ব্যক্তিকে। এরপর তাদের মধ্যে থেকে আরও ৫ জনের শরীরে শনাক্ত ওমিক্রন।
সংক্রমণ ঠেকাতে পহেলা ডিসেম্বর থেকে পর্তুগাল প্রবেশে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি বেশ শক্ত অবস্থানে যায় কস্তা প্রশাসন। গত দুইদিনে নেগেটিভ সার্টিফিকেট ছাড়া যাত্রী বহন করায় কয়েকটি এয়ারলাইন্সকে বিপুল অর্থ জরিমানার পাশাপাশি অর্ধশতাধিক যাত্রীকে নগদ অর্থ জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে সংক্রমণ ঠেকাতেও এক পৌর এলাকা থেকে অন্য পৌর এলাকায় ভ্রমণের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপের ইঙ্গিত দেন পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তোনিও কস্তা। খ্রিস্টীয় নববর্ষের সব ধরনের কনসার্ট বাতিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রোববার থেকে পঞ্চাশোর্ধ নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে পর্তুগাল।
এখনো আফ্রিকার কয়েকটি দেশ ছাড়া কারও সাথে ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেয়নি দেশটি। তবে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
আপনার মতামত লিখুন :