শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ০২:২৯ রাত
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ০২:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক মাসে স্লিম হওয়ার যত ডায়েট

অনলাইন ডেস্ক : প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে দ্রুত ওজন কমানোর পদ্ধতিকে বলা হয় ফ্যাড ডায়েট। কিন্তু এটি বিজ্ঞানসম্মত নয় বলে বহু পষ্টিবিদ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারপরেও চট করে রোগা হয়ে যান— এমন চমকপ্রদ আহবানে অনেকেই না জেনে-না বুঝে ওজন কমবে এমন আশায় ডায়েট করে থাকেন। ইত্তেফাক

ওজন কমাতে অনেক দিন ধরে জনপ্রিয় ছিল অ্যাটকিনস ডায়েট। এতে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে যত ইচ্ছে প্রোটিন ও ফ্যাট খাওয়া যায়। তবে এক মাসে রোগা হওয়ার জন্য আরও বেশ কিছু ডায়েট প্রচলিত আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ডায়েট কী রকম।diet

কিটো ডায়েট
এ ডায়েটে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে কার্বোহাইড্রেট। বেশি করে খেতে হবে ফ্যাট জাতীয় খাবারর। সঙ্গে সামান্য প্রোটিন। আর তা থেকেই শরীরে এনার্জির প্রয়োজনীয় ঘাটতি পূরণ হবে। দীর্ঘ দিন ধরে এই ডায়েট মেনে চললে দেখা দিতে পারে প্যানক্রিয়াসের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য। হজমের সমস্যাও শুরু হয়। যদিও প্রথম দিকে ওজন কমে। অন্যদিক উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা বা অ্যানজাইনা থাকলে এই ডায়েট কিন্তু অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং
ওজন কমানোর জন্য বেশ ‘ইন থিং’ এই ডায়েট। এক কথায়, প্রতিদিন অল্প অল্প করে উপোস করার পদ্ধতি। যেমন সকাল সাতটায় ভারী ব্রেকফাস্ট কারার পর বিকেল তিনটায় ভারী কিছু খাওয়া। মাঝের সময়টা উপোস থাকা। এ ভাবে উপোসের সময় বাড়িয়ে ২৪ ঘণ্টায় নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এই ডায়েটে সমস্যা হলো দুর্বলতা, হজমে সমস্যা, বিশেষত ডায়াবেটিক রোগীদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে দ্রুত ওজন কমাতে আছে বেশ কিছু ডায়েট। ছবি: আমির নঈম  

ভিগান ডায়েট
এই ডায়েটে প্রাণিজ খাদ্য বাদ দেওয়া হয়। নানান রকম বীজ, দানাশস্য, বাদাম ও ফল ছাড়া বিশেষ কিছু খাওয়া নিষেধ। দুধ খেতে হলে বেছে নিতে হয় আমন্ড বা কোকোনাট মিল্ক। কম ক্যালরির বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কারণে ওজন প্রাথমিক ভাবে খানিক কমে। কিন্তু তার পরেই হয় সমস্যা। শরীরে আয়রন, ফোলেট, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি-এর মারাত্মক অভাব দেখা দেয়।

প্যালিয়ো ডায়েট
এটি ভিগান ডায়েটের একেবারে বিপরীত। মূলত পর্যাপ্ত পরিমাণে মাংস খেতে হয়। সঙ্গে দুগ্ধজাত, শস্যজাতীয় খাদ্য ও বীজ। মাত্রাতিরিক্ত মাংস খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, ডায়রিয়া ছাড়াও কোলেস্টেরল ও ইউরিক অ্যাসিডের উচ্চ মাত্রা দেখা দিতে পারে। হতে পারে বাতও।diet

মেডিটেরেনিয়ান ডায়েট
মূলত ডাল ও দানাশস্য জাতীয় খাবার খেতে বলা হয় এ ডায়েটে। বাদ দিতে বলা হয় রেড মিট। সব রান্নাই অলিভ অয়েলে করা হয়। রেড ওয়াইন পান করার কথাও বলা হয় এই ডায়েটে। কমিয়ে ফেলতে বলা হয় দুগ্ধজাত দ্রব্য। এর ক্ষতিকর দিকগুলোর মধ্যে আছে-শরীরে দেখা দিতে পারে ক্যালসিয়ামের অভাব, উচ্চ পটাশিয়াম ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যাও হতে পারে।

জোন ডায়েট
সাধারণত স্থানীয় খাবার থাকে খাদ্যতালিকায়। খাবারের ভাগ এমন থাকে, যাতে ৪০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ৩০ শতাংশ প্রোটি‌ন ও ৩০ শতাংশ ফ্যাট থাকে। এই ডায়েটে দুগ্ধজাত উপাদান কম থাকায় ক্যালসিয়ামের অভাব হয় শরীরে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়