মনজুরুল হক
ঝুমন দাস ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে দাঁড়াবেন। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটা দোষেরও নয়, বরং উপমহাদেশের কমন ট্রেন্ড। বাংলা, হিন্দি, তামিল, কন্নড়, মালয়ালম, তেলেগু ফিল্ম স্টাররা অনেক আগে থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে এমপি, এমএলএ, মন্ত্রি, সিএম হয়েছেন। জয়ললিতার স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও কেঁদেকেটে বিলাপ করতে করতে কয়েকশো মানুষ মরেও গেছে। একসময় দেশে বিটিভি যুগে এক-দুবার বিটিভিতে খোমা দেখিয়ে অনেক আর্টিস্ট অ্যাডফার্ম খুলে বসতেন। আর রাজনীতিতে মাস্তানি, চাঁদাবাজি, মাদকের কারবার, লুটপাট, জমি দখল, মানুষ খুন করেও রাজনীতিতে তশরিফ রাখেন। ঠিক উল্টোটাও ঘটে। অত্যাচারিত-নিপীড়িত কেউ কেউ জনপরিচিতি পেয়ে রাতারাতি ‘সেলিব্রেটি’ হয়েও রাজনীতিতে নেমে পড়েন।
ঝুমন দাস যদিও বলছেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন, তার পরও ধরে নেওয়া যায় জিতে গেলে শেষ পর্যন্ত নৌকায় উঠে বসবেন, আর হেরে গেলে এক আঁটি ধানের শীষ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখবেন। তবে কোনোভাবেও কমিউনিস্ট হবেন না, বামপন্থি হতে চাইবেন না, কারণ মার খাওয়ার ভয় আছে। এখন ঝুমন দাস চেয়ারম্যান হয়ে বা না হয়ে মার দেবেন, না মার খাবেন সেটা সময় বলে দেবে। তবে গণমানুষের সমবেদনায়, আন্দোলনে কারামুক্ত এবং তাদের ভালোবাসায় সিক্ত ঝুমন দাস একজন প্রতিবাদী প্রতীক হয়েও থাকতে পারতেন। অ্যান্ড অব দ্য রাইটিং ঝুমন দাসকে অভিনন্দিত করতে পারলাম না বলে দুঃখিত। লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট
আপনার মতামত লিখুন :