ইমরুল শাহেদ: ফয়সাল আহমেদ পরিচালিত পুলিশ থ্রিলার ‘মিশন এক্সট্রিম’ শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে। এই ডিসেম্বর মাসে আরো কিছু বড় বাজেটের বাণিজ্যিক ছবি। ব্যতিক্রমী ধারার আরো কিছু ছবিও রয়েছে এর মধ্যে। প্রযোজক পরিবেশক সমিতির পূর্বাহ্নে দেওয়া তথ্যানুসারে ২৬ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৫ সপ্তাহে ১১টি ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে আয়না, নোনাজলের কাব্য, মিশন এক্সট্রিম, ছিটমহল, অবাস্তব ভালোবাসা, কালবেলা, লাল মোরগের ঝুঁটি, বিয়ে আমি করব না, পরাণের পাখি, স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা ও আগামীকাল। এই তালিকা থেকে ইতোমধ্যে দু’একটি ছবি মুক্তি পেয়ে গেছে। কিন্তু মুক্তি পাওয়া এসব ছবিকে বাণিজ্যিক মানদণ্ডে বিবেচনা করা হচ্ছে না। এসব ছবির মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো মিশন এক্সট্রিম।
প্রদর্শক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, মিশন এক্সট্রিমকে কেন্দ্র করে বন্ধ থাকা সিনেমা হলগুলোর মধ্যে ২০টি খুলেছে। করোনার মহামারির কারণে এসব সিনেমা হল বাণিজ্য সফল ছবি পেলে এই সিনেমা হলগুলো আর বন্ধ হবে না।
পরিচালক ফয়সাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, শুক্রবার দেশের ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘মিশন এক্সট্রিম’। ছবিটি নিয়ে সারা দেশের হল মালিকরা বেশ আগ্রহী। তাদের আগ্রহ দেখে আমরা রীতিমতো অবাক। ৫০ হল ছাড়া আরও অনেক প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি প্রথম সপ্তাহে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমরা ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি নিশ্চিত করেছি। দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পর্যায়ক্রমে বাকি হলগুলোতেও ‘মিশন এক্সট্রিম’ চলবে। ছবিটির প্রচারণার আয়োজনও করা হয়েছে ব্যাপকভাবে। দীর্ঘ প্রায় তিন বছর রাজধানীর রাস্তায় দেখা গেল ভ্যান গাড়িতে ছবিটির পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণার কাজ চালানো হচ্ছে। আগে দেখা যেত, ছবি মুক্তি মুক্তিকে সামনে রেখে সারা পোস্টারে ছেয়ে যেত। সেটা এখনো ভালোভাবে শুরু হয়নি।
পুরান ঢাকার একজন পোস্টার ডিজাইনার বলেন, সেটা আবার শুরু হবে এবং চলচ্চিত্রের সুদিনও ফিরে আসবে। ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবিটি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তথা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ‘সিটিটিসি’র কিছু শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত। গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পুলিশ সুপার সানী সানোয়ার নিজেই। সিনেমাটির সহযোগী প্রযোজক হিসেবে রয়েছে মাইম মাল্টিমিডিয়া ও ঢাকা ডিটেকটিভ ক্লাব।
আপনার মতামত লিখুন :