ইমরুল শাহেদ: শুরু হলো বিজয়ের মাস। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বিধ্বস্ত বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকে ভিত্তি করে প্রথম নির্মিত হয় ‘ওরা ১১ জন’। পরিচালক হিসেবে চাষী নজরুল ইসলামের এটাই প্রথম ছবি। এ ছবির মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন মাসুদ পারভেজ, যিনি সোহেল রানা হিসেবে দর্শের কাছে সুপরিচিত। ছবিটি মুক্তি পায় ’৭২ সালের ১৩ আগস্ট।
এ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, শাবানা, খসরু ও নূতন। উল্লেখ করার বিষয় হলো খসরুর সঙ্গে ১০ জনের আর যারা ছিলেন তারা হলেন মঞ্জু, অলীন, হেলাল, আবু, আতা, নান্টু, বেবী, মুরাদ, আলতাফ এবং ফিরোজ। এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনেত্রী রওশন জামিল, মিরানা জামান, সুমিতা দেবী, গুণী অভিনেতা মেহফুজ, সৈয়দ হাসান ইমাম, খলিল, রাজসহ অন্যান্যরা অভিনয় করেন। ছবিতে রাজাকারের চরিত্রে অভিনয় করেন এ.টি.এম শামসুজ্জামান। ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেন প্রখ্যাত সুরকার খোন্দকার নূরুল আলম।
ছবিটিতে ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘আমায় একটি ক্ষুদিরাম দাও বলে কাঁদিস না মা’, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলো যারা’-এই তিনটি গান ব্যবহার করা হয়। ৭২ সালে এই ছবিটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার লাভ করে। এ ছবি সংশ্লিষ্ট অনেকেই আজ আর বেঁচে নেই।
এই ঐতিহাসিক ছবিটি নিয়ে সম্প্রতি স্মৃতিচারণ করেছেন অভিনেত্রী নূতন। তিনি বলেন, ‘এই ছবিটি এক অনন্য ইতিহাস। আমি গর্বিত যে আমি এই ইতিহাসের অংশ। এই ছবি আমার আত্মার অংশ।’
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘এই ছবিটিতে আমাকে কাস্ট করার আগে প্রযোজক মাসুদ পারভেজ ভাই এবং চাষী ভাই সুমিতাদি’র বাসায় আসেন। আমাকে উনারা দেখেন, কথা বলেন। উনারা বুঝতে পারেন চরিত্রের সঙ্গে আমি মানানসই।’ নূতন বলেন, ‘ছবিটির অন্যতম বিষয় হলো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। এতে ছবির মধ্যে ভীষণ রকম একটা গতি তৈরি হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :