রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা থেকে বিরোধী ১২ এমপিকে হট্টগোলের অভিযোগে সাসপেন্ড করাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিরোধীরা গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্না-অবস্থান ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। সোমবার রাজ্যসভা থেকে ওই এমপিদের সাসপেন্ড করা হয়। পারসটুডে
[৩] কংগ্রেস এবং অন্যান্য দল রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে ১২ এমপির সাসপেন্ড আদেশ প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু ওই আদেশ প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করেন।
[৪] ওই ইস্যুতে সংসদের উভয়কক্ষে তুমুল হট্টগোল হয়। হট্টগোলের জেরে দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয় লোকসভা। বিরোধীরা এ সময়ে অধিবেশন বয়কট করে সংসদ চত্বরে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হন। সাসপেন্ড হওয়া এমপিরা এ সময়ে হাতে পোস্টার নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
[৫] এ প্রসঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল এমপি দোলা সেন বলেছেন, দেশের কৃষক, সাধারণ মানুষের স্বার্থে বিরোধীদের মুখ খুলতেই হয়। আর সংসদ হল তার উপযুক্ত জায়গা। কিন্তু সেখানে বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। তাদের কথায় কর্ণপাত করা হয় না।
[৬] রাজ্যসভায় হট্টগোল সৃষ্টির অভিযোগে বিরোধী ১২ জন এমপিকে সাসপেন্ড করা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন এমপি বলেন, ‘আমাদের দাবি, বিজেপি’র যে ৯০ জন এমপি রয়েছে তাদেরও সাসপেন্ড করা দরকার। আর যদি ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে তাহলে তাদেরই চাইতে হবে।
[৭] দোলা সেনের আরও অভিযোগ, রাজ্যসভা ও লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকার যেকোনও বিল কোনও আলোচনা ছাড়াই পাশ করিয়ে নিচ্ছে আর তা আইনে পরিণত করছে, যা কাঙ্খিত নয়। গণতন্ত্রের পক্ষে এটি একটি বিপজ্জনক প্রবণতা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
[৮] প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য এমপি বলেন, ‘ভুল এবং অবৈধভাবে সাসপেনশন করা হয়েছে। অবিলম্বে এটি প্রত্যাহার করা খুব প্রয়োজন। সরকার পক্ষ আমাদের কথা শুনছেই না। চেয়ারম্যান সাহেবকে আমরা বারবার অনুরোধ করেছি কিন্তু ট্রেজারি বেঞ্চ বারবার ওই বিষয়ে ইন্ধন দিয়েছে। সেজন্য সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে আমরা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছি। এই ওয়াকআউট চলবে। কতদিন তা চলবে বিরোধী দলনেতা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের একটাই দাবি সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে বলেও কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য এমপি মন্তব্য করেন।
আপনার মতামত লিখুন :