স্পোর্টস ডেস্ক : রেকর্ড সপ্তমবারের মতো ব্যালন ডি'অর জিতলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি। আগের ছয়বার মেসি এই পুরস্কার জিতেছেন-২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে। বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
ব্যালন ডি অর মূলত দেওয়া হয় চলতি বছরের পারফরম্যান্সের হিসাব করে। এই বছর কী করেছেন লিওনেল মেসি?
গত মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ৩৬ ম্যাচ খেলে তার পা থেকে এসেছে ৩০ গোল। দল হিসেবে বার্সার পারফরম্যান্স হতাশাজনক হলেও উজ্জ্বল ছিলেন লিওনেল মেসি। ক্লাবটির লা লিগায় তৃতীয় স্থান, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলো ও কোপা দেলরে জয়ের সবচেয়ে বড় কারিগর ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা।
আঁতোয়ান গ্রিজম্যান ও ফ্রাঙ্কি ডি জংয়েরও অবদান ছিল বেশ, তবে মূল কারণ মেসিই। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে কোপা দেলরের ফাইনালে ২ গোল করেছিলেন তিনি। হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ম্যাচশেষে ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে মেসির সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন সতীর্থরা।
চলতি বছরই বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক শেষ করে বার্সেলোনাতে গিয়েছেন মেসি। তবে সেটিও যেন চলতি বছর মেসির দ্বিতীয় আলোচিত ঘটনা। এর আগেই যে বহুল আকাঙ্ক্ষিত আন্তর্জাতিক শিরোপার দেখা পেয়েছিলেন মেসি।
সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবারের কোপায় ব্রাজিলকে মারাকানায় হারিয়ে আবারও এই শিরোপা জিতেছে বার্সা। দেশকে ২৮ বছর পর এই শিরোপা জেতানোর পথে ৬৩০ মিনিট মাঠে ছিলেন মেসি। ৪ গোলের সঙ্গে করেছেন পাঁচ অ্যাসিস্ট। এই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন মেসি।
পিএসজিতে যোগ দিয়ে এখন অবধি সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি মেসি। তবে ৩৪ বছর বয়সী তারকা ইতোমধ্যেই ১০ ম্যাচে ৪ গোলের সঙ্গে পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। এসব গোল বা অ্যাসিস্টের বাইরেও পুরো বছরজুড়ে খেলায় দারুণ প্রভাব রেখেছেন মেসি। সবমিলিয়েই তিনি জিতলেন ক্যারিয়ারের সপ্তম ব্যালন ডি অর।
আপনার মতামত লিখুন :