আন্তর্জাতিক ডেস্ক : [২] করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ায় পর বিশ্ববাজারে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলে বড় দরপতন হয়েছে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে এক লাফে ব্যারেলপ্রতি আরও ১০ ডলার কমেছে।
[৩] শনিবার (২৭ নভেম্বর) প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেল ১০ ডলার ২২ সেন্ট বা ১৩ শতাংশের বেশি কমে ৬৮ ডলার ১৭ সেন্টে বিক্রি হয়েছে।
[৪] বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য মতে, ২০২০ সালের এপ্রিলের পর আন্তর্জাতিক বাজারে এটিই তেলের সবচেয়ে বড় দরপতন। তেলের দাম আরও কমে যেতে পারে।
[৫] বৈশ্বিক ইক্যুইটি বাজারের সঙ্গে তেলের দরপতন ঘটেছে এই ভয়ে যে, করোনার এ ধরনের কারণে বৈকল্পিক, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানির চাহিদা কমে যেতে পারে।
[৬] দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) নতুন যে ধরন শনাক্ত করেছে, যার নাম ‘ওমিক্রন’, এটি ‘উদ্বেগের বিষয়’ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সে উদ্বেগ থেকেই শুক্রবার প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের মূল্য ছিল ৭২.৭২ ডলার, যা গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় আট শতাংশ কম।
[৭] বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার নতুন ধরনের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে সঙ্কট দেখা দিতে পারে। কমে যেতে পারে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। যার ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের চাহিদাও কমে যেতে পারে। আর এই ভয়েই তেলের দামে বড় পতন হয়েছে।
[৮] এর আগে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৫ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ও ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম। এরও আগে গত ১৯ নভেম্বর আরেক দফা কমেছিল তেলের। তখন ৮৫ ডলার থেকে কমে ৭৯ ডলারে নেমে আসে।
[৯] উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৪২ ডলার। এরপর তা বেড়ে চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর ৮৫ ডলার ছাড়িয়ে ৮৫ দশমিক ০৭ ডলারে ওঠে। যদিও এরপর থেকেই তা কমতে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :