হাসান তাকী: [২] স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে বাড়ির ছাদে যান স্বামী সুমন মিয়া। তোমার সঙ্গে জরুরি কথা আছে বলে সেখানে ডেকে নিয়ে যায় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান তিনি।
[৩] শুক্রবার (২৬/১১/২১) রাত পৌনে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তারগাছ এলাকায়।
[৪] সুনামগঞ্জের দোয়ারা সদর বাজার এলাকার আবদুল বারেকের মেয়ে জোনাকি আক্তার (২২)। চাকরি করতেন স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায়।
[৫] নিহতের পরিবার জানায়, জোনাকি আক্তারের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে রাজমিস্ত্রি সুজন মিয়ার (৩০) বিয়ে হয়। সে স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
[৬] বেশ কিছুদিন ধরে তাঁদের মধ্যে কলহ চলছিল। এর পর থেকে তাঁরা আলাদা থাকছিলেন। শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সুজন মিয়া তাঁর স্ত্রীকে শ্বশুরের ভাড়া বাসার পাঁচতলার ছাদে নিয়ে যান। সেখানে তাঁদের কথা-কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সুজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী জোনাকির গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান।
[৭] পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন চিৎকারের শব্দ শুনে ছাদে গিয়ে জোনাকিকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন। দ্রুত জোনাকিকে উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৮] জোনাকির বাবা আবদুল বারেক বলেন, তাঁর মেয়ের স্বামী সুজন হঠাৎ বাসায় এসে জোনাকিকে বলেন, ‘তোমার সঙ্গে কথা আছে। বাড়ির ছাদে আসো।’ এই বলে বাড়ির ছাদে নিয়ে জোনাকিকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
[৯] গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, নিহত জোনাকির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :