খালিদ আহমেদ: [২] ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘১৫ দল, তিন জোটের অঙ্গীকার, ১৪ দল গঠনের মধ্য দিয়ে আমরা বর্তমান পর্যায়ে এসেছি। নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এর ভিত্তি ছিল অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য। আমাদের জোট আছে। ১৪ দলে আছি। তবে কেবল দিবস পালনে। নীতিনির্ধারণে কোনো অংশ নয়। সরকারের দায় আমাদেরও বহন করতে হয়। আওয়ামী লীগের কাছে ১৪ দলের অথবা অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক ঐক্যের প্রাসঙ্গিকতা আছে কি-না জানি না।’
[৩] বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে মেনন এসব কথা বলেন।
[৪] মেনন বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে ধর্মীয় মৌলবাদের যে বিপদ বর্তমান, উন্নয়নের সঙ্গে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার যে বিপদ বিদ্যমান, দুর্নীতি-বৈষম্য-সাম্প্রদায়িকতা, সম্পদ আর ক্ষমতার কেন্দ্রীভবন আর কর্তৃত্বে যে বিপদ বিদ্যমান তার থেকে মুক্ত করতে আজকে অম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল শক্তির ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সুবর্ণজয়ন্তীতে উন্নয়ন বনাম গণতন্ত্র নয়, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে, সাম্প্রদায়িকতাকে রুখতে হবে।’
[৫] সাম্প্রদায়িকতা উত্থানের শঙ্কা প্রকাশ করে মেনন বলেন, ‘আজকে তৃণমূলের কর্মীদের অংশগ্রহণকে আমরা অস্বীকার করতে পারবো না। সেটা স্বীকার করতে পারবো না। সেটা স্বীকার না করে দোষারোপের রাজনীতি সাম্প্রদায়িকতাকে আরো উৎসাহিত করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের সঙ্গে যে আপোস করেছিল তারই ফলশ্রুতিতে তালেবানরা যখন কান্দাহার থেকে কাবুল রওনা হয় তখন তিন লাখ সরকারি সেনা আনুগত্য পরিবর্তন করেছে। আজকে ধর্মবাদী রাজনীতির সাথে আপোস বাংলাদেশে জামায়াতের পুনরুত্থান ঘটাবে কী না বলা যায় না।’
[৬] ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলাদেশ কোনো ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র হবে না। হবে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। দক্ষিণ এশিয়ার ঘটনাবলী সেখানে সংশয় সৃষ্টি করছে। রাইফেলের নল কখন ঘুরে যাবে জানি না।’
[৭] সমাজতন্ত্র আজকে বিশ্বে পর্যুদস্ত, এতে কোনো সন্দেহ নেই-উল্লেখ করে মেনন বলেন, ‘কিন্তু আমরা যে উদারনৈতিকভাবে উদারনৈতিক অর্থনীতি অনুসরণ করছি তাতে আমাদের উন্নয়ন অন্তর্ভুক্তিমূলক হচ্ছে না। আজকে জন্ম নিচ্ছে তীব্র বৈষম্যের।’
আপনার মতামত লিখুন :