রাশিদুল ইসলাম : [২] জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে নিরাপত্তা বাহিনী ও গেরিলাদের মধ্যে সংঘর্ষে তিন গেরিলা নিহত হবার পর ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করা হয়েছে। পারসটুডে
[৪] শ্রীনগর পুলিশের মহাপরিদর্শক বিজয় কুমার তিন সন্ত্রাসীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
[৫] হিন্দি গণমাধ্যম ‘অমর উজালা’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার বিকেলে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে শ্রীনগরের রামবাগ এলাকা। গেরিলারা ওই এলাকায় তল্লাশি করতে আসা নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করে এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এ সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং একইসঙ্গে স্থানীয় লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। বলা হচ্ছে এলাকাটি জনাকীর্ণ হওয়ায় জওয়ানরা সংযমের সঙ্গে পাল্টা গুলিবর্ষণের মধ্য দিয়ে জবাব দেয়। এতে তিন গেরিলার মৃত্যু হয়। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফ সমন্বিত যৌথবাহিনী ওই অভিযান চালায়।
[৬] গণমাধ্যমে প্রকাশ, আজ বিকেলে রামবাগ এলাকায় গেরিলাদের উপস্থিতির খবর পায় পুলিশ। পুলিশ এ সময়ে সেনাবাহিনী ও সিআরপিএফ কর্মীদের সঙ্গে ওই এলাকায় যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাও ও তল্লাশি অভিযান জোরালো হতে দেখে গেরিলারা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের দিকে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করে গেরিলাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হয়। সন্ধ্যায় যখন গেরিলাদের দিক থেকে দীর্ঘক্ষণ কোনো গুলিবর্ষণ না হয়, তখন নিরাপত্তা বাহিনী ওই স্থানে তল্লাশি চালায়। এ সময় সেখান থেকে তিন গেরিলার লাশ উদ্ধার করা হয়।
[৭] মঙ্গলবার পিডিপি প্রধান ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতিকে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি পুলিশ। তিনি সম্প্রতি হায়দারপোরা এনকাউন্টারে নিহত আলতাফের স্বজনদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। পিডিপি’র অভিযোগ, দলীয় সভাপতি মেহেবুবা মুফতিকে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। এরআগে, পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতি, শ্রীনগরের হায়দারপোরার এনকাউন্টার নিয়ে সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি নিরপরাধ মানুষকেও হত্যা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :