খালিদ আহমেদ: [২] রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
[৩] তবে বছরে তিনবার এবং প্রতিবারে ১০ দিন করে বাংলাদেশে এসে জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা সঙ্গে থাকার সুযোগ পাবেন তাদের মা চিকিৎসক নাকানো এরিকো।
[৪] জাপান থেকে তার বাংলাদেশে আসা-যাওয়া এবং শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানো বাবদ যে অর্থ খরচ হবে তা বহন করবে শিশুদের পিতা শরীফ ইমরান। তবে তিনবারের বেশি সময় যদি তিনি সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে চান তাহলে সেই ব্যয়ভার ওই নারীকে বহন করতে হবে।
[৫] আদেশে বলা হয়েছে, আমরা শিশুদের সঙ্গে চারবার খাস কামরায় কথা বলেছি। শিশুদের সঙ্গে কথা বলা এবং আইনজীবীদের মতামত গ্রহণ করে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। শিশুদের সর্বোচ্চ স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসে দুইবার সন্তানদেরকে তাদের মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলানোর বিষয়টি নিশ্চিত করবেন তাদের পিতা শরীফ ইমরান।
[৬] এছাড়া গত কয়েক মাসে জাপানি নারীর বাংলাদেশে আসা এবং থাকা খরচ বাবদ ১০ লাখ টাকা প্রদান করতে ইমরান শরীফকে আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিকে জাপানে থাকা তৃতীয় সন্তানকে বাংলাদেশে আনার আবেদন করেন ইমরান। হাইকোর্ট তার এ আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন।
[৭] ২০০৮ সালে জাপানের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিয়ের পর টোকিওতে বসবাস শুরু করেন শরীফ ইমরান ও চিকিৎসক নাকানো এরিকো । তাদের ১২ বছরের সংসারে তিন কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তারা তিনজনই টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের শিক্ষার্থী ছিলেন। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ও এরিকোর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ দেখা দেয়। পরে শরীফ দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। এরপর দুই সন্তানকে নিজ জিম্মায় ফেরত পেতে ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এরিকো।
আপনার মতামত লিখুন :