শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০২১, ১১:১৪ রাত
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২১, ১১:১৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আত্মহত্যার আগে রফিকুলের নামে চিরকুট লিখে গেলেন স্কুলছাত্রী

নিউজ ডেস্ক: জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌন হয়রানির শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক স্কুলছাত্রী (১৬) আত্মহত্যার পর তার খাতার ভেতর থেকে একটি চিরকুটটি উদ্ধার করেছে তার পরিবার। নিহত ওই ছাত্রীর পরিবার চিরকুটটি উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। তবে চিরকুটটি নিহত ছাত্রীর নিজের হাতের লেখা কীনা, তা যাচাই করছে পুলিশ। আরটিভি

খাতার ভেতর থেকে চিরকুট পাওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। এর আগে মেয়েকে যৌন হয়রানির ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর নিহতের বাবা বাদী হয়ে স্থানীয় রফিকুল ইসলাম (৪০) ও শাহিনুর ইসলামকে (৪০) আসামি করে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, রফিকুল উপজেলার বাঘাপাড়া ও শাহিনুর বড়তারা গ্রামের বাসিন্দা। এর মধ্যে পরের মামলার ৩ নম্বর আসামি আব্দুর রাজ্জাককে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনিও একই গ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, উপজেলার বাঘাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় মাধ্যমিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। গত ৭ নভেম্বর স্কুলের এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে ওই ছাত্রীও উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে তার সঙ্গে বড়তারা গ্রামের শাহিনুর রহমানের দেখা হয়। শাহিনুর তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তার মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে বিভিন্ন পথ ঘুরে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরের সামনে নামিয়ে দেয়। তখন বিকেল সাড়ে ৫টা বাজে। এ সময় রফিকুল এসে ওই শিক্ষার্থীকে কৌশলে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে। তখন মেয়েটি কান্না শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে রফিকুল পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ৮ নভেম্বর দুপুরে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম ও শাহিনুর রহমানের নামে ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ১৮ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার বড়তারা গ্রামে নিজ বাড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। নিহত স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।

উদ্ধার হওয়া চিরকুটে যা লেখা ছিল, ‘রফিকুল তুই স্কুলের ছাদে নিয়ে বিয়ের কথা বলে আমার.....হাত দিয়েছিস। তোর বিরুদ্ধে আমার বাবা মামলা করায় আবার তুই আমাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার হুমকি দিলি। কিন্তু সেই সুযোগ পাবি না। আজই দুনিয়া হতে যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য তুই দায়ী। তোর বিচার আল্লাহ্ করবে। ইতি........’।

নিহতের বাবা বলেন, মেয়েটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিল। আমার মেয়েটি যৌন হয়রানির ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। এরমধ্যে প্রতিবেশীরা তাকে দেখলেই খারাপ কথা বলতো। এসব মেনে নিতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের মৃত্যুর পর তার খাতার ভেতর থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। আমরা মেয়ের হাতের লেখার সঙ্গে চিরকুটের লেখা মিলিয়ে দেখেছি। চিরকুটটি আমার মেয়েরই লেখা। আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের সবার বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, নিহত ছাত্রীর চিরকুটটি পুলিশ উদ্ধার করেনি। নিহত ছাত্রীর খাতার ভেতরে পরিবারের সদস্যরা চিরকুটটি পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এটি নিহত ছাত্রীর নিজের হাতে লেখা কিনা, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক নামে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়