আতিক খান
প্রতিবেশী তিন সন্তানের মা লাইলির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় একমাত্র কন্যাশিশু ৫ বছরের ফাহিমাকে হত্যা করেছেন পাষÐ বাবা ট্রাক্টরচালক আমির হোসেন। আমির ভয় পেয়েছিলেন, ফাহিমা তাদের পরকীয়ার ঘটনা তার মা, আমিরের স্ত্রীকে জানিয়ে দেবে। তবে এই হত্যায় লাইলিরও প্ররোচনা ছিলো। আমিরকে অর্থের বিনিময়ে হত্যায় সাহায্য করেন, ফাহিমার চাচা আর দুই প্রতিবেশী। আমির নিজেই ফাহিমার চোখ চেপে ধরেন আর শরীরে প্রথম ছুরি চালান। এরপর এই ছোট্ট শরীরে অন্যরাও ছুরিকাঘাত করে। তবুও ফাহিমা মারা না যাওয়ায় আমির তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ফাহিমা চলে গেলো, আমিরের হয়তো ফাঁসি হবে। লাইলি ছাড়া আরও কয়েকজনের ফাঁসিসহ বিভিন্ন মাত্রায় শাস্তি হবে। লাইলির সংসারটাও ধংস হলো, ৩ সন্তানও মাহারা হলো। এই ৩ সন্তান মায়ের অপকর্ম বুকে চেপেই মানসিক আর সামাজিক চাপ মাথায় নিয়ে বড় হবে। অথচ দু’জনেরই সাজানো গোছানো সংসার ছিলো। মানুষ সবসময় নিজেকে সবচেয়ে বুদ্ধিমান মনে করে। তার ওপরেও যে আরও কেউ থাকতে পারে সেটা সে ভাবে না।
বাচ্চা মেয়েটাকে কি আর কোনোভাবে বুঝ দেওয়া সম্ভব ছিলো না? একজন বাবা এভাবে তার আত্মজাকে নৃশংসভাবে খুন করতে পারে? আহা! এই মেয়েটাকে আমির কতো শতবার কোলে-পিঠে নিয়েছে, আদর করেছে। হত্যার পর আমির কন্যাশিশু হারিয়ে যাওয়ার জিডি করেছিলো, মাইকিং করিয়েছিলো এমনকি অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলাও করেছিলো। কী দুর্দান্ত অভিনয়। যেভাবে সামাজিক অবক্ষয় বাড়ছে, পরকীয়া আমাদের সমাজে আরও অনেক সংসার আর জীবন ধ্বংস করবে। অথচ আইনগত আর ধর্মীয়ভাবেই হত্যার চাইতে সহজ সমাধান দেওয়াই আছে। সংসার করতে অনিচ্ছুক হলে, অন্য কাউকে বেশি পছন্দ হলে ডিভোর্স নিয়ে আবার বিয়ে করতে পারে। কিন্তু সবাই গাছেরটাও খেতে চায়, তলারটাও কুড়াতে চায় কিন্তু দায়িত্ব নিতে চায় না।
আপনার মতামত লিখুন :