ইমরুল শাহেদ: ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী (বিএসএফ) নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাকে। গাঙ্গুলী অভিযোগ করেছেন, সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি নিরাপত্তারক্ষীদের ‘ধর্ষক’ ও ‘খুনী’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি আরো বলেছেন, সেনা বাহিনীকে প্রাপ্য ক্ষমতার চাইতে বেশি দেওয়া হয়েছে। ছিটমহলের বাসিন্দাদের কথা ভাবলেই শিউরে উঠি। অনির্বাণ গাঙ্গুলীর পক্ষে এই আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন আইনজীবী পৃথ্বীশ দাস। সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও পাঞ্জাবের সীমান্তরক্ষীদের ক্ষমতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর এমন সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি অপর্ণার। এমনিতেই তাদের অবস্থা খুব খারাপ। তার ওপর বিএসএফদের ক্ষমতা বাড়ালে তা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। পাশাপাশি এ বিষয়ে মমতা সরকারকে সীমান্তবাসীদের কথা ভেবে দেখার অনুরোধও জানান অপর্ণা। নোটিশকারী পৃথ্বীশ দাসের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অসম্মান করেছেন অপর্ণা সেন। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
ডেইলি সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনির্বাণ গাঙ্গুলী এক টুইটে বলেছেন, অপর্ণার মন্তব্য ‘আপত্তিকর’, ‘বিষময়’ ‘ঈর্ষাপূত’ এবং ‘বিরক্তিকর’। তিনি ভারতের শত্রুদের ভাষায় কথা বলেছেন।
এর আগে টিএমসি দলের এমপি উদয়ন গুহ বলেছেন, সীমান্ত অঞ্চলে তল্লাশি চালানোর সময় বিএসএফ সদস্যরা আপত্তিকরভাবে নারীদের স্পর্শ করে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ‘বিএসএফ বাহিনীতে যেসব নারী সদস্য রয়েছেন, তারাই নারীদের তল্লাশি করেন।’
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং পাঞ্জাব সীমান্ত থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ ভূ-সীমানা ১৫-৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফ’র ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। যার জেরে বিএসএফ ৫০ কিলোমিটার ভেতর পর্যন্ত তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা পেয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ। এমএসএন নিউজকে গাঙ্গুলী বলেছেন, অপর্ণা সেন সীমান্ত রক্ষীদের অসম্মান করে কথা বলতে পারেন, কিন্তু চিত্রজগতে যে মাদকের প্রসার ঘটছে সেটা নিয়ে তিনি কথা বলেন না।
আপনার মতামত লিখুন :