শিমুল মাহমুদ: [২] সরকার একটা আইনমন্ত্রী বানিয়েছে, এক অপদার্থ, মূর্খ আইনমন্ত্রী, ঠিক মতো আইনও জানে না, ইতিহাস জানে না। এ বাংলাদেশে সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া নতুন নয়, উদাহরণ আছে।

[৩] শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির এনপিপি আয়োজিত এক সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথা বলেন।

[৪] তিনি বলেন, আমি বেগম জিয়াকে দেখে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসবার পরে সাংবাদিকদের বলেছিলাম, কত বড় অসুখ হলে রাষ্ট্রপতি জামানিতে, জাপানে, লন্ডনে চিকিৎসা করতে যায়। কোন অসুখ নিয়ে শেখ হাসিনা কয়েকবার লন্ডনে গিয়েছেন আমাদের বলেন।

[৫] আপনাদের বেলায় লীলাখেলা, যখন মনে হবে লন্ডন যাবেন, আমেরিকা যাবেন, ইন্ডিয়া যাবেন। অথচ বেগম জিয়া বিষয়ে বলবেন আমরা আইনের কাছে বাধাঁ। সমস্ত আইন একটার পর একটা লঙ্গন করেছে তারা। এখন পর্যন্ত করছে।

[৬] মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমি সত্যি সত্যি জানি না বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা কতখানি খারাপ। আমি যখন ডাক্তার সাহেবকে জিজ্ঞাস করেছি, অবস্থা কি আগের চেয়ে ভালো না খারাপ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুকের মধ্যে একটা ধাক্কা খেয়েছে। যদি ভালো হতো তিনি ভালো বলতেন, কিন্তু তিনি ভালো বলতে পারেননি।

[৭] যদি সত্যি সত্যি বেগম জিয়ার অবস্থা সেরকম ক্রিটিক্যাল হয়, যদি তিনি ততো বড় ঝুঁকির মধ্যে থাকে তাহলে প্রথমে সমস্ত এজেন্ডা বাদ দেন, আমাদের একটায় কথা ভাবতে হবে হয় উনি বাচঁবেন; না হয় এরা থাকতে পারবে না।

[৮] মান্না বলেন, আমি তো বিএনপি করি না, কোনোদিন করবোও না। কিন্তু সবসময় বলি। কারনে এ দেশ একটা মানবিক দেশ, একটা কল্যাণ রাষ্ট্র গড়বার জন্যইতো মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। সে দেশে চিকিৎসার অভাবে এতো বড় একজন নেত্রী মারা যাবে এটা চুপচাপ বসে দেখা যাবে না। সেজন্য জন্য এ লড়াই আমাদের সবার।