শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ০১:১৫ রাত
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ০১:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মনজুরুল হক: মাদ্রাসাক্রান্ত দেশে মাদ্রাসার আইন চলবে, চলছে তো;

মনজুরুল হক
তিন মাস আগের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দেখা যাচ্ছে এক ‘মাদ্রাসা শিক্ষক নৃশংসভাবে ৮-৯ বছরের এক শিশুকে পেটাচ্ছেন। একপর্যায়ে সহ্য না করতে পেরে শিশুটি পা ধরে ফেলে শিক্ষকের। তার পরও রেহাই পায়নি। প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাওলানা মো. আব্দুল মুকিত শিশুটিকে প্রহার করেছেন ‘দানবের মতো।’ এটা ছাপা হওয়া খবর। আর এ ধরনের ঘটনার শেষে যে লাইনটি থাকে, এবারও তার ব্যতীক্রম হয়নি... ‘ছাতক থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।’

আমি এখানে মাদ্রাসা শিক্ষকের খুব একটা অপরাধ দেখি না, কারণ বেশিরভাগ মাদ্রাসায় এভাবেই পেটানো হয়। আরও যা যা করা হয় তা নাকি কবিরা গুনাহ। তো জেনে-বুঝে তারা সেই কবিরা গুনাহও করেন। এস্তেমাল হয়ে গেছে। কারণ তারা জানে কোন দোয়া পড়লে সারাজীবনের গুনাহ-খাতা মাফ হয়ে যায়, তাই গুনাহ করতে দু’বার ভাবে না। এখানে প্রধান অপরাধী ওই শিশুদের পিতা-মাতা। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধিব্যাপারী বামি¯øামিক তালেবরগণ ম্যালথাসের জনসংখ্যা সূত্র, মাদ্রাসাকে মূলস্রোতের বাইরে রাখার রাষ্ট্রীয় বিচ্যুতি, দেরিদা, ফুকো, সাঈদ, লাকা ফানা ফানা করে ওইসব পিতা-মাতার অপরাধকে ‘দারিদ্র্যের নিষ্পেষণজনিত অসহায়ত্ব’ জাহির করবে। পাবলিকও নির্দ্বিধায় সেই তত্ত¡ গিলবে।

বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন জোয়ারের বাস্তবতায় কথিত দরিদ্র পিতা-মাতার মোবাইল আছে, বাস ভাড়া দিয়ে কুটুমবাড়ি বেড়াতে যায়, ঘরে টেলিভিশন আছে, তিনবেলা খাবার পায়, একাধিক বিয়ে করে বউকে গার্মেন্টসে কাজ করায়, গোটা চার-পাঁচেক পুষ্যি পয়দা করে, খবর শোনে, কেউ কেউ ফেসবুক চালায়, ক্রিকেট দেখে, নিয়মিত সঙ্গম করে। যারা এসব পায় এবং করে, তারা সন্তানকে দারিদ্র্যের কারণে মাদ্রাসায় দেয় খুব অল্পসংখ্যক। বেশিরভাগই সন্তানকে মাদ্রাসায় দেয় দ্বীনের কাজে, পরকালের চিন্তায় এবং ছেলে ঈমানদার মানুষ হবে সেই ‘তাগিদ’ ও বাসনা থেকে। এখন কী করা যাবে? মাদ্রাসা শিক্ষকদের নীতি-নৈতিকতা শেখাবেন? তারা মাদ্রাসার বাইরের কারও শিক্ষা নেয় না নেবেও না। আইন দিয়ে নিবৃত রাখবেন? তারা তাগুতি আইন মানে না। পুলিশের ভয় দেখিয়ে? অনেক পুলিশের সন্তানও মাদ্রাসায় পড়ে। সরকারের ভয় দেখিয়ে? সরকারও মাদ্রাসার বড় পেট্রোনাইজার। সুতরাং দেখতে থাকুন। একসময় দেখবেন আর ততোটা অসহ্য মনে হচ্ছে না। মাদ্রাসাক্রান্ত দেশে মাদ্রাসার আইন চলবে। চলছে তো। অনেক মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়ানো হয় না। সরকার, আইন, পুলিশ কী করতে পেরেছে?
লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়