নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি পর্যটন সুবিধায় দেশে আনা ১১২টি গাড়ি নিলামে তোলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। এর মধ্যে ১১০টি গাড়ি কিনতে দরপত্র জমা দেন ক্রেতারা। সোমবার নিলামটির সর্বোচ্চ দরের তালিকা প্রকাশ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যাতে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছেন ১১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
এর আগে একাধিকবার নিলাম তুলেও বিক্রি করতে না পেরে ৩ নভেম্বর ও ৪ নভেম্বর দুই দিনব্যাপী অনলাইনে ও দেশের পাঁচটি নির্ধারিত স্থানে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। ৫৫১ জন দরদাতা এতে অংশ নেন।
নিলামে দেখা গেছে, একটি মিতুসুবিশি গাড়ির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৫০ হাজার ১০ টাকা। যেটির রিজার্ভ ভ্যালু (আমদানি মূল্য ও ট্যাক্স) ছিল এক কোটি ৩৯ লাখ টাকা। একই নিলামে বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের একটি গাড়ির দর উঠেছে এক লাখ ৫০ হাজার ১০ টাকা ও মার্সিডিজ বেঞ্জের দর উঠেছে তিন লাখ ১০ টাকা। গাড়ি তিনটির সর্বোচ্চ দরদাতা কেপিএল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড।
বিশ্বসেরা ব্র্যান্ড হয়েও নিলামে এসব গাড়ির দর কম ওঠার কারণ বিশ্লেষণে জানা গেছে, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে রয়েছে গাড়িগুলো। এতে করে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক যন্ত্রাংশ। এমনকি অনেক গাড়ির নেই চাবিও। ফলে প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম পায়নি কাস্টমস।
নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছে বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের ২০০৭ মডেলের একটি গাড়ির। দুই কোটি ৩৮ লাখ টাকা রিজার্ভ ভ্যালুর (আমদানি মূল্য ও ট্যাক্স) বিপরীতে ১৯৯৩ সিসির এ গাড়িটির দর উঠেছে ৫৩ লাখ টাকা। যা দিয়েছে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠান ফারজানা ট্রেডিং।
কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, ১১২টি গাড়ির মধ্যে ১৬টি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছে কেপিএল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেড। এছাড়া ফারজানা ট্রেডিং ১১টি ও শাহাদাত হোসেন ১১টি গাড়ির সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, নিলামে দর দাতাদের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। এখন নিলাম অনুমোদন কমিটির একটি বৈঠক হবে। সেখানকার সুপারিশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে যাবে। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেগুলো বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে না, সেগুলো আবারো নিলামে তোলা হবে।
দর কম পাওয়া পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রত্যাশার চেয়ে কম দর পাওয়া গাড়িগুলো দর দাতাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে কি না, সে বিষয়ে নিলাম কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। -ডেইলি বাংলাদেশ