আফরোজা সরকার : [২] বাজারে চালের দাম বেশি থাকায় স্বল্পমূল্যের চাল ও আটা কিনতে ওএমএস (খোলা বাজার) কেন্দ্রে ছুটছেন রংপুর নগরীর নিম্নআয়ের মানুষ । নগরীর ৩৫জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে।
[৩] বাজারে দাম বেশি হওয়ায় চাল আটাসহ ওএমএসের পণ্য কিনতে দরিদ্র মানুষের ভীর আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
[৪] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওএমএস কেন্দ্রগুলোতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কম মূল্যে চাল এবং আটা কিনতে মানুষগুলোকে। দুটি আলাদা লম্বা লাইনে নারী ও পুরুষের ভীর। কথা বলে জানা যায়, বাজারে দাম বেশি তাই কম দামে চাল আটা কিনতে এসেছেন তারা। বাজারে চাল ও আটার দাম হিমশিম খাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ।
[৫] সে কারণে সাশ্রয়ী দামে পণ্য কিনতে খাদ্য অধিদপ্তরে ওএমএসের ( ওপেন মার্কেট সেল) দিকে ছুটছেন তারা । মাত্র ৩০ টাকা কেজি চাল এবং ১৮ টাকা কেজিতে আটা কিনতে তারা ক্রেতারা ওএমএসের দিকে ছুটছেন। কেউ কেউ ওএমএসের আটা বিক্রি শুরু হওয়ার আগেই নির্ধারিত স্থানে লাইনে দাঁড়ায়। অথবা ট্রাক সেল সবখানেই এখন দীর্ঘ লাইন দিয়ে বিক্রি হচ্ছে পণ্য।
[৬] রবার্টসনগঞ্জে কয়েকজন জানান, ৫ কেজি চালের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়, চাল কিনতে পারলে খুশি হবেন তারা। ক্রেতারা আরো জানান,৩০ টাকা করে পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারলে বাজারের থেকে ৫০-৬০ টাকা কম দাম পড়ে। এজন্য ওএমএসের চাল কেনেন। এখন যে চাল দেওয়া হচ্ছে সেটি মানেও ভালো। ওএমএস চালু রাখায় নিম্নআয়ের মানুষ গুলো সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
[৭] এদিকে, ক্রেতার চাপ বেশি থাকায় কিছুটা কম দামে জীবন ধারনের অপরিহার্য । এ দুটি পণ্যের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ডিলাররা। ওএমএসের চাল ও আটা বরাদ্দ পাওয়া ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যা পাই তা অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় বরাদ্দের পরিমাণ কমে বরাদ্দের পরিমাণ খুবেই কম।
[৮] এ বরাদ্দের পরিমান বাড়িয়ে দিলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো যাবে । নগরীর ওএমএস ডিলার জুলু প্রধান বলেন, এখন চাল ও আটার জন্য ক্রেতাদের চাহিদা। আমি এক হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা পাই। এই চাল ও আটা দেখতে দেখতেই বিক্রি হয়ে যায়। আরেক ডিলার বলেন, বাজারে এখন চাল ও আটার চাহিদা অনেক বেশি। আর এ কারণে নিম্নআয়ের মানুষ না ওএমএসের চাল কিনতে ছুটে আসছে।
[৯] মহানগর ওএমএস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বলেন, এখন মানুষের চালের চেয়ে আটার চাহিদা বেশি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :