রাজু চৌধুরী :-[২] চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা(তহসিলদার) ও অফিস সহায়ককে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় আরো একজন পলাতক রয়েছে।
[৩] জানা গেছে, চলমান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিয়মিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে রোববার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) মোঃ শাহাদাত হোসেন (৪৫) নামে একজন ও অফিস সহায়ক এমদাদ কে প্রায় ২৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার কারণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা শাহাদাতকে পুলিশের হাতে তুলে দেন ও অফিস সহায়ক এমদাদকে দুদকের কাছে তুলে দেয়া হয়।
[৪] অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন বর্তমানে কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তার পূর্ববর্তী কর্মস্থল মহানগর আগ্রাবাদ সার্কেলের দক্ষিণ পাহাড়তলি ভূমি অফিসে কর্মকালীল সময়ে সহযোগী এমদাদসহ ভূমি উন্নয়ন করের চালান জালিয়াতির মাধ্যমে এই টাকা আত্মসাৎ করেন। উক্ত ভূমি উন্নয়ন করের টাকা সরকারের কোষাগারে চালানের মাধ্যমে জমা দেয়ার নিয়ম থাকলেও তারা জমা না দিয়ে চালান জালিয়াতির মাধ্যমে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করেন।
[৫] চলমান অভিযানে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেন ও অফিস সহায়ক এমদাদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলে মহানগর আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে একটি দল শাহাদাতকে আটক করে ডবলমুড়িং থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। বর্তমানে অফিস সহায়ক এমদাদও দুদকের কাছে আটক রয়েছে।
[৬] অন্যদিকে সুমন চৌধুরী বর্তমানে কর্ণফুলী ভূমি অফিসের আওতাধীন শিকলবাহা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত। একইভাবে সুমন চৌধুরী শিকলবাহা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত অবস্থায় চালান জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন করের ৩০ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। এর পূর্বে রাংগুনিয়া ভূমি অফিসের আওতাধীন ঘাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত থাকাকালীন সময়েও ভূমি উন্নয়ন করের প্রায় ৭১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। সরকারী কোষাগারে উক্ত অর্থ জমা দেয়ার কথা থাকলেও তিনি চালান জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে ১ কোটি ২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন তাৎক্ষনিক তার বিরুদ্ধে মামলা করে। বর্তমানে অভিযুক্ত সুমন পলাতক থাকলেও তাকে গ্রেপ্তারের জন্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
[৭] জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। যেখানেই দুর্নীতির বিষয়টি পাওয়া যাচ্ছে ও যারা দুর্নীতিতে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি এল.এ শাখায় দুর্নীতি করার কারণে দুই দালালসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৮] তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে ইতিপুর্বেও ৫ জনকে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। অনেককে বরখাস্ত করা হয়েছে ও দূর্গম এলাকায় বদলি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের এ ধরনের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :