শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহানে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ০৯:৫৭ সকাল
আপডেট : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ০৯:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মায়ের কোলে ফিরেছে মেছোবাঘের সেই তিন ছানা

ডেস্ক রিপোর্ট: বিড়াল ভেবে এসব ছানা ঘরে তোলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের ইছলা ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিবা রানী।

দিবা রানীর ঘরের পাশে একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারে রাতের বেলায় তিন ছানাকে ভুলে ফেলে রেখে গিয়েছিল মা মেছোবাঘটি। সকালে ছানাগুলোর ডাকাডাকির শব্দ শুনতে পান দিবা রানী।

বিড়ালের ছানা ভেবে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করে বিপাকে পড়েন এ স্কুলশিক্ষক। বাচ্চাগুলো খাবার না খেয়ে কেবল ডাকতেই থাকে। একপর্যায়ে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে একটি পোস্ট দেন। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। নজর কাড়ে বনবিভাগের বন্যপ্রাণী বিভাগের। জানতে পারেন এগুলো মেছোবাঘের ছানা।

শুক্রবার বনবিভাগের পরামর্শে বাচ্চাগুলোকে একই স্থানে রেখে দেন দিবা রানী। সেখানেই তিন বাচ্চার কাছে ফেরে মা মেছোবাঘটি। আর বাচ্চাগুলো খুঁজে পায় তাদের মায়ের কোল।

কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়নের ইছলাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিবা রানী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রথমে ছানাগুলোকে দুধ ও ভাত খাওয়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। পরে অন্য কোনো উপায় না পেয়ে ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে একটি পোস্ট দেই।

দিবা রানী বলেন, পোস্ট দেখে বন বিভাগের লোকজন আমার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। এরপর বুঝতে পারি এগুলো মেছোবাঘের ছানা। পরে বনবিভাগের লোকদের পরামর্শে যেখানে বাচ্চাগুলো পেয়েছিলাম সেখানেই রেখে আসি। এরপর বাচ্চাগুলোকে আর পাইনি। এ এলাকাটি পাহাড়ি ও সংরক্ষিত বনের পাশে পড়েছে। প্রায়ই রাতের বেলায় মেছোবাঘের ডাক শুনতে পাওয়া যায়।

বন্যপ্রাণী বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (প্রকৃতি ও নিরাপত্তা) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যে স্থানে মেছোবাঘের বাচ্চাগুলো পাওয়া যায়, সেই স্থানেই আবার রেখে দেওয়ার কারণে মা মেছোবাঘ এসে সেগুলো নিয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়