শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৪৫ রাত
আপডেট : ১৫ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পদ্মায় জেলের জালে ১৮ কেজি ওজনের কাতলা বিক্রি হলো ৩২ হাজার টাকা

নিউজ ডেস্ক: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে জেলের জালে রোববার সকালে ধরা পড়েছে ১৮ কেজির একটি কাতলা মাছ। পরে মাছটি ৩২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়।

রোববার সকাল সাতটার দিকে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার অদূরে পদ্মা নদী থেকে স্থানীয় জেলে নিরঞ্জন হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, শনিবার দিবাগত রাতে নদীতে জাল নিয়ে মাছ শিকারে বের হন নিরঞ্জন হালদার। রাতে তেমন ভালো কোনো মাছ না পাওয়ায় তিনি অনেকটা হতাশ হন। ভোরের দিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে বাহির চর দৌলতদিয়া এলাকায় জাল ফেলেন তিনি। সেখানে জাল তুলতেই ঝাঁকুনিতে বুঝতে পারেন বড় কোনো মাছ আটকা পড়েছে। অবশেষে জাল তুলে নৌকায় ওঠাতেই দেখেন, বড় একটি কাতলা মাছ। পরে মাছটি নিরঞ্জন হালদার বিক্রির জন্য দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিক্রি করেন।

মৎস্যজীবীরা আরও জানান, নিরঞ্জন হালদার মাছটি বিক্রির জন্য সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে অবস্থিত শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। পরে শাহজাহান শেখ মাছটি ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজিতে মোট ২৮ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেন।

মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, ‘কাতলা মাছটি উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে কেনার পর আড়তেই রেখেছিলাম। পরবর্তী সময়ে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে দুপুরের দিকে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে ৩২ হাজার ৪০০ টাকায় আস্ত মাছটি বিক্রি করা হয়।’

নিরঞ্জন হালদার বলেন, ‘আমরা শনিবার রাতে মাছ ধরতে নদীতে যাই। রাত শেষে ভোরেও মাছ না পাওয়ায় অনেকটা হতাশ হচ্ছিলাম। পরে সকাল সাতটার দিকে জাল তুলতেই দেখি, বড় মাছটি আটকা পড়েছে। অনেক দিন পর অনেক বড় একটি মাছ পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। মাছটির ভালো দামও পেয়েছি।’

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ জানান, মিঠা পানির এত বড় মাছ নদীতে এখন মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। এ ধরনের মাছ সাধারণত ফ্যাসন, দশন, কৌনা, কচাল ও চাকাওয়ালা ঘাইলা বেড়জালে ধরা পড়ে। আগামী প্রজন্মের জন্য এই মাছের স্থায়ী অভয়াশ্রম করা গেলে এমন মাছের বংশবৃদ্ধি বেশি হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়