শাহাদাত হোসেন, রাউজান প্রতিনিধি: জাতীয় ফুল শাপলা প্রায় এখন বিলুপ্ত। তেমন একটা চোখে পড়ে না শাপলা। এই শাপলা ফুল এক সময় বর্ষা মৌসুমে পুকুর, ডুবায়, জলাশয়,নদী- খাল-বিলসহ আনাচে কানাচে দেখা যেতো। যা গ্রামকে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরিয়ে রাখত।
কালের বিবর্তণে এখন এরূপ সৌন্দর্য চোখে পড়ে না। খাল-বিল ও আবদ্ধ জলাশয় ভরাটের কারণে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাউজান উপজেলার পাহাড়ি এলাকা হলদিয়া বৃন্দাবনপুর বটপুকুরিয়া এলাকায় দু’একটি পুকুরে গুটি কয়েক শাপলা ফুল ফুটে থাকতে। বতর্মানে নিচু জমিগুলোতে ধান চাষ ও পুকুর-জলাশয়গুলো পরিষ্কার করে জালের ঘেড়া দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ হচ্ছে। যার ফলে শাপলা ফুল জন্মানোর ক্ষেত্র গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ছোটবেলায় দেখতাম পুকুর-জলাশয়- খাল-বিলে জন্মানো শাপলা ফুল থেকে বের হতো ডাঁটা। স্থানীয় ভাষায় বলা হতো ড্যাব।পুকুর-জলাশয় থেকে এগুলো মানুষ উঠিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে শুকিয়ে খই ভেজে খেত। খুবই স্বাদ ছিল। হাট- বাজারে সুস্বাদু ডাঁটাগুলো সবজি হিসেবে বিক্রি করতো। রান্না করলে শাপলা ফুলের ডাঁটা খেতে খুবই সুস্বাদু হতো।
বর্তমানে শাপলার ডাঁটা বা ড্যাব খাওয়া তো দূরের কথা শাপলা এখন ডুমুরের ফুল। বর্তমানে নতুন প্রজন্মরা এই ফুলের বিষয়ে জানতে পারে পাঠ্যবইয়ের মধ্যে। পাঠ্যবইয়ে জাতীয় ফুল শাপলার ব্যাপারে নানাভাবে বর্ণনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ শাপলা ফুল নতুন প্রজন্মরা এখন দেখতে পায় না। সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা। শুধু পাঠ্যবইয়ে জাতীয় ফুল শাপলার বর্ণনা শুনবো। বাস্তব ক্ষেত্রে তা, দেখতে পাব না। ফুলটি সংরক্ষণ করার প্রয়োজন। যেহেতু আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা। রাউজানে অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানে পুকুর- জলাশয় রয়েছে। তাই সরকারিভাবে এই ফুল সংরক্ষণ করা সময়ের দাবি। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :