খালিদ আহমেদ: [২] বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
[৩] সাভার উপজেলায় অবস্থিত বাগাইল, ধোলাই ও পাকুরিয়া বিল এবং কর্ণপাড়া খালগুলোর অবস্থা সম্পর্কে ও দূষণকারী কারখানার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানিয়ে প্রতি ছয় মাস পরপর আদালতে প্রতিবেদন দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
[৪] ওই চার জলাশয়ে কারখানার বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক বর্জ্য নিঃসরণ বন্ধে ও জলাশয়গুলো রক্ষার নির্দেশনা চেয়ে বেলা ২০১১ সালে রিটটি করে। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
[৫] রুলে কারখানার বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক বর্জ্য থেকে চার জলাশয় সুরক্ষায় কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে জলাশয়ে স্বাভাবিক গতিপথে প্রতিবন্ধকতা রোধে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
[৬] আদালত বলেছেন, পরিবেশ অধিদপ্তর যে যুক্তি দিয়েছে, তা বিবেচনায় নেওয়ার যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না।
[৭] আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবীর। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুনতাসীর উদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী।