ইমরুল শাহেদ: খ্যাতিমান এই অভিনেত্রী বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক ও পরিচালক জেড এইচ মিন্টুর অনুদানের অর্থ সহযোগিতায় নির্মিত ‘ক্ষমা নেই’ ছবিতে অভিনয় করছেন। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ চলচ্চিত্রটি বেশ যত্ন নিয়ে নির্মাণ করছেন পরিচালক। ছবিটির পূবাইল লোকেশনে বসেই তার সঙ্গে এই রিপোর্টারের কথা হয়। দুই দশক পর এ ছবিতে অভিনয় করা নিয়ে ফাল্গুনী হামিদ বলেন, ‘প্রথমত ছবিটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক।
দ্বিতীয়ত আমার সাংবাদিকতা জীবন যে হাউজটি থেকে গড়ে উঠেছে, সেখানকার দুই সম্পাদকই আমাকে অনুরোধ করেছেন আমাকে ছবিটিতে কাজ করার জন্য। তাদের অনুরোধকে আমি অনুরোধ হিসেবে নেইনি। আমি সেটাকে নির্দেশ হিসেবে নিয়েছি।’ অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে ভালো লাগে না। নাটক প্রযোজনার একটা প্রোডাকশন হাউজ আছে। সেখান থেকে নিয়মিত নাটক নির্মিত হয়। তাই ক্যামেরার সামনের চাইতে মনিটরের সামনে বসতে আমার বেশি ভালো লাগে।’ অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘নিয়মিত অভিনয় করার ইচ্ছা আমার নেই।
কারণ আমার অন্যান্য ব্যস্ততা আছে। চাকরী আছে, নিজের একটা সাময়ীকী আছে। এসব করতেই সময় চলে যায় অভিনয় করার সময় কই।’ ফাল্গুনী হামিদ বর্তমানে অভিনয় না করলেও তিনি শুধু একজন অভিনেত্রীই নন, নাট্যকার এবং নির্মাতাও। তার মেয়ে তনিমা হামিদও ছিলেন একজন খ্যাতিমান অভিনেত্রী। তিনি বর্তমানে অভিনয় করেন না। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ফাল্গুনী হামিদ ১৫ বছর সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) শ্রোতা পাস অডিশনে উত্তীর্ণ হন এবং গ্রুপ থিয়েটার ‘নাট্যচক্র’ এর সঙ্গে যুক্ত হন। আশির দশকে তিনি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে গ্ল্যামার জগতে প্রবেশ করেন। ‘টেলি রিয়েল লিমিটেড’ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :