শিরোনাম
◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০২১, ০৩:২০ রাত
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০২১, ০৩:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হেলাল মহিউদ্দিন: পণ্যের চড়া দাম আর স্বল্প আয়ের মানুষের চোখেমুখে দুর্গতি

হেলাল মহিউদ্দিন
‘শায়েস্তা খাঁ’র আমলে যখন টাকায় আট মণ চাল মিলতো, তখনো অনেক মানুষকে না খেয়ে মরতে হয়েছে’। এই উক্তিটি করেছিলাম পনেরো-ষোলো বছর আগে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানের কোনো একটি ক্লাস নিতে গিয়ে। কয়েকদিন পর একজন ছাত্র কিছু বিষয় বুঝতে এলো। সে কথা প্রসঙ্গে জানালো এক ছাত্রনেতা যে আমার সেই ক্লাসে ছিলো, এই উক্তিটি দেদারসে বক্তৃতায় ব্যবহার করছে। এখানে-সেখানে রাজনীতির তর্ক-বিতর্কেও কোট করছে। নিজের উক্তি বলেই যে চালাচ্ছে, তাও কিন্তু নয়। আমাকে কোট করে, রেফার করে, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেই বলছে। জানলাম ছাত্রনেতাটি তেমনটি করছিলো কারণ তখন তার দল ক্ষমতায়। হঠাৎ দ্রব্যমূল্যের বেহাল অবস্থা, তেলের দাম বৃদ্ধি, নতুন নি¤œমধ্যবিত্তের আবারও দরিদ্র হতে থাকা ইত্যাদি নিয়ে জনঅসন্তোষ বেশ তীব্র হয়ে ওঠছিলো। ছাত্রনেতাটি উক্তিটি ব্যবহার করছিলো জাস্টিফিকেশন হিসেবে যে সরকার জানপ্রাণ ঢেলে দিয়ে যতো যাই করুক না কেন, কিছু মানুষের নিয়তিই হচ্ছে বেঘোরে মরা। যাদের মরার কথা তারাতো মরবেই! এতে সরকারের দায় নেই, দ্রব্যমূল্য বাড়া না বাড়ার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই!

আমি হায় হায় করে উঠেছিলাম। বললাম, আমি তো উক্তিটি করলাম একেবারেই উল্টো কারণে। ‘ভিক্টিম বেøইমিং’ বা জনগণকে দোষ দিতে নয়। বলেছিলাম শায়েস্তা খাঁর জমানা হলেও যখন খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা জনবান্ধব ছিলো না, গণঅধিকার এবং জনগণের ‘এনটাইটেলমেন্ট’কে আমলে নিলো না, তখন টাকায় আট মণ চাল মেলা সত্তে¡ও মানুষকে ক্ষুধায় মরতে হয়েছিলো। অমর্ত্য সেনের ‘এনটাইটেলমেন্ট’ এবং গণমুখী সম্পদ ব্যবস্থাপনার আলাপ প্রসঙ্গেই না উদাহরণটি টেনেছিলাম। অর্থ তো দাঁড়াবে জনগণের সকল ভোগান্তির দায় অগণমুখী সম্পদ ব্যবস্থাপনা চালাতে থাকা সরকারের। কাতরকণ্ঠে বলেছিলাম, ছাত্রনেতাটির নাম বলো, আমার সঙ্গে দেখা করতে বলো। দেখা করতে আসা ছেলেটি ততোধিক কাতরকণ্ঠে বলেছিলো স্যার, আমাকে তাহলে হলছাড়া করবে। পিটিয়ে পঙ্গুও বানিয়ে ফেলতে পারে! অবস্থাটি এখন কেমন? উত্তর দেওয়া কি আদৌ প্রয়োজন? ভয় হয় এই লেখার প্রথম বাক্যটি রাজনীতির মহাজনদের কেউ কেউ আবারও খাবলা দিয়ে তুলে নিয়ে জনদুর্গতি বিষয়ে স্বপক্ষীয় জাস্টিফিকেশন খাড়া করার কাজে ব্যবহার করে বসতে পারে। বক্তৃতা, বিবৃতি, কথামালায় সে রকম ভুরিবুরি প্রমাণ তো হাতের নাগালেই। সম্প্রতি সকালে বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে জিনিসপত্রের যোগান কম ছিলো, কিন্তু পণ্যের চড়া দাম আর স্বল্প আয়ের মানুষের চোখেমুখে দুর্গতি এবং আমার ছাত্রটির ভীতির চেয়েও বহুগুণ বেশি ভীতির যোগানে একটুও কমতি ছিলো না। Helal Mohiuddin-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়