শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আরো বলেন,সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদসহ এই ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাগীনা মো. মিন্টুর নেতৃত্বে ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী। প্রকৃত অপরাধী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
[৩] গত সোমবার আনুমানিক বেলা ১২টায় নওগাঁ সদর উপজেলার ৮ নং হাসাইগাড়ী ইউনিয়ন বাজারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিল মোল্লা দলীয় কর্মী ও নির্বাচনী সমর্থকদের নিয়ে লাঙ্গল প্রতীকের ক্যাম্পিং করছিলেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে লুকিয়ে থাকা দুষ্কৃতকারীদের উপর্যুপরি লাঠিচার্জে মারাত্মক হয়েছেন তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন ও জাতীয় পার্টির কর্মীরা তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
[৪] প্রার্থী হাবিল মোল্লা বর্তমানে নওগাঁ উপজেলা সদর হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। প্রার্থীর সাথে থাকা জাতীয় পার্টির মহিলা কর্মীদেরকে মারপিট ও লাঞ্ছিত করা হয়। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্মকর্তা এবং মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ এর কাছে প্রার্থীর স্ত্রী নাসরিন বেগম লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে অবহিত করেন।
[৫] কিন্তু দুঃখের বিষয় নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কোনো ধরনের তৎপরতা দেখাননি। পুলিশ প্রশাসনও কোন ভূমিকা রাখেনি। জাতীয় পার্টির মহাসচিব হাবিলের উপর হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির দায় নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এবং পুলিশ প্রশাসনকেই নিতে হবে। বিষয়টি বুধবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন, জাতীয় পার্টির দফপ্তর সম্পাদক ০২ এম.এ.রাজ্জাক।
আপনার মতামত লিখুন :