শিরোনাম
◈ নুর ইস্যুতে গণঅধিকার পরিষদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ◈ কঠিন সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ সুপার ফোরে যেতে ◈ গত অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকারের ৫৬৮৯ কোটি টাকা সাশ্রয় ◈ মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমাতে চায় সরকার ◈ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৫০ দুপুর
আপডেট : ০৯ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১০ থেকে ১১টার ঘুমা আদর্শ, ভালো থাকবে হৃদযন্ত্র: গবেষণা

স্বাস্থ্য ডেস্ক: সম্প্রতি এই গবেষণার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে। ৮৮ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে যে, যারা রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে নিয়মমাফিক এই সময়ের মধ্যে ঘুমাতে যান তাদের হৃদযন্ত্র তুলনামূলক সুস্থ থাকে। একুশে টিভি অনলাইন

যুক্তরাজ্যের গবেষণা দলটির মতে, সময় ঘড়ির সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের দেহঘড়িকেওযদি পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া যায় তাহলে এতে হার্টএটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটির জন্য গবেষকরা প্রথমে ৮৮ হাজার জন স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচন করেছেন এবং এরপর তাদের হাতে ঘড়ির মত দেখতে একটি ডিভাইস সেট করে দিয়েছেন।

টানা ৭দিন এই ডিভাইসেই রেকর্ড করা হয়। তাদের ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে জেগে ওঠার সময় এবং সেই সময়ে তাদের শরীর সম্পর্কীয় বিভিন্ন তথ্য।

এভাবে ছয় বছর বিভিন্ন সময়ে এই প্রকৃয়া চালানো হয়। এবং দেখা যায়  ৮৮ হাজার জনের মধ্যে মাত্র ৩০০০ জন প্রপ্ত বয়স্ক মানুষের হার্টের রোগ হয়েছে।

সেটিও আবার এমন মানুষের ক্ষেত্রেই হয়েছে যারা বেশিরভাগ ঘুমের আদর্শ সময় মেনে চলেননি, অর্থাৎ, রাত ১০ টার আগে অথবা রাত ১১টার পরে ঘুমাতে গিয়েছিলেন।

এই গবেষণার প্রধান, যুক্তরাজ্যের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ডেভিড প্ল্যানস বলেন, “যদিও আমরা আমাদের এই গবেষণার ফল থেকে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারি না, তবে এটুকু নিশ্চিত যে অনিয়মিত ঘুম হর্টের জন্য ক্ষতিকর।“

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের জেষ্ঠ্য কার্ডিয়াক নার্স রেজিনা গিবলিন বলেন, “ এই গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে নিজের হার্টকে সুস্থ রাখতে, রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়া একটি সুন্দর অভ্যাস হতে পারে।“

তবে এই গবেষণাটি একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের ওপর করা হয়েছে এটিও মনে রাখতে হবে বলে জানান গিলবিন। বলেন, “হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকির সঙ্গে ঘুমের বিষয়টি কীভাবে জড়িত তা জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।“

তবে হার্টের অসুখের জন্য অনিয়মিত ঘুমই একমাত্র কারণ নয়। উচ্চরক্তচাপ, কোলস্টেরল, অতিরিক্ত ওজন, শারীরিক পরিশ্রম না করা এবং লবণ ও অ্যালকোহল গ্রহণও হার্ট এটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়