ইমরুল শাহেদ: ৫ নভেম্বর শুক্রবার এফআই মানিক পরিচালিত ‘এ দেশ তোমার আমার’ মুক্তি পেয়েছে। ছবিটি দর্শক সাড়া কতটুকু ফেলেছে বা ফেলতে পেরেছে সেটা বড় কথা নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো চলচ্চিত্রের এই দু:সময়ে মানিক দর্শককে একটি সুন্দর ছবি উপহার দিয়েছেন। কিন্তু এ ছবির দু’জন শিল্পী - দিতি ও মিজু আহমেদ তাদের শেষ ছবিটির মুক্তি দেখে যেতে পারেননি। দিতি একজন চমৎকার অভিনেত্রী। জীবনের শেষ সময়ে তিনি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি প্রচুর নাটকেও অভিনয় করেছেন।
এই শিল্পী মস্তিস্কে ক্যান্সারে আক্রন্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে পড়েছিলেন। নিজের আত্মীয়-স্বজন কাউকে চিনতে পারেননি। মিজু আহমেদ মারা গেছেন একটি ট্রেনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে। এই সময় তিনি উত্তরবঙ্গে একটি ছবির শুটিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য যাচ্ছিলেন। একইভাবে তারুণ্যের হৃৎকম্পন সালমান শাহও ক্যারিয়ারকে তুঙ্গে রেখে মারা যান।
কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়টি আদালতে আছে। বিষয় হলো তার মৃত্যুর কারণে অনেকগুলো অসমাপ্ত ছবি রয়ে গিয়েছিল। তার মৃত্যুর একাধিক নায়কের আবির্ভাব হয় চলচ্চিত্রে। তাদের কেউ এসেছেন রোমান্টিক নায়কের অভাব পূরণ করতে, কেউ এসেছেন সালমান শাহের অসমাপ্ত ছবির ডামি হয়ে, আবার কেউ এসেছেন অ্যাকশন নায়কের পাশে নাচানাচি ও প্রেমের সংলাপ বলার একজন প্রয়োজন তাই। তাতে চলচ্চিত্র সমৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু ক্ষণজন্মা অভিনেতা সালমান শাহের মতো কেউ দর্শক হৃদয়ে গেঁথে যেতে পারেননি।
জীবদ্দশায় শেষ ছবি দেখে যেতে পারেননি অনেকেই। মুম্বাইয়ের সর্বশেষ ঘটনা হলো সুশান্ত সিংয়ের। তিনি কিভাবে মারা গেলেন তা নিয়ে রহস্য থেকে গেলেও তার শেষ ছবিটি দারুণ ব্যবসা করেছে এবং ছবিটি তিনি দেখে যেতে পারেননি। সম্প্রতি সার্চ ইঞ্জিন এমএসএন জীবদ্দশায় শেষ ছবি দেখে যেতে পারেননি এমন ৫০ জন তারকার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন আন্না নিকোল স্মিথ, নাটালি উড, স্পেন্সার ট্রেসি, ক্লার্ক গ্যাবল, জন ক্যান্ডি, রিভার পোয়েনিক্স, খ্রিস পার্লে, মেরিলিন মনরো, ব্র্ডান লি, ব্রুস লি, জেমস ডীন, পল ওয়াকার, রক হাডসন প্রমূখ।