মঈন চৌধুরী: রুশ আকরণবাদী সাহিত্যতত্তে¡র উদ্ভব ঘটেছিলো ১৯২০-১৯৩০-এর দশকে তৎকালীন রাশিয়া এবং চেকো ভোকিয়াতে। এ আন্দোলনের মূল প্রবক্তারা ছিলেন রোমান ইয়াকবসন, মিখাইল বাখতিন, জান মুকরারোভস্কি, রেনে ভেল্লেক প্রমুখ। রুশ আকরণবাদে বলা হয়, আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যে সামাজিক ভাষা আছে, তাকে সাধারণ ভাষা বা হিসেবেই গণ্য করা উচিত। সামাজিক ভাষার কাজ হলো একটি মানুষের সঙ্গে অন্য একটি মানুষের যোগাযোগ রক্ষা করা এবং এই ভাষার প্রয়োগ/আচরণ খুবই সহজ ও সরল। সাহিত্যের ভাষা কোনো অবস্থাতেই ‘সাধারণ ভাষা’ নয়, কারণ আমাদের সামাজিক ভাষাকে ‘অপরিচিতিকরণ’ করার মাধ্যমে ‘সাহিত্য-ভাষা’র সৃষ্টি হয়।
সাহিত্যের ভাষা যে আমাদের সামাজিক ভাষাকে অপরিচিতিকরণ করে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই এবং এ কারণে রুশ-আকরণবাদকে সাহিত্য-বিশ্লেষণে আনা যায়। কবি আল মাহমুদ কেন বলেন, ‘গাঙের ঢেউয়ের মতো বলো কন্যা কবুল কবুল’, কেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তার উপন্যাস লালসালুতে লেখেন. ‘দূরে তাকিয়ে যাদের চোখে আশা জ্বলে তাদের আর তর সয় না, দিনমানক্ষণের সবুর ফাঁসির সমান। তাই তারা ছোটে ছোটে।’ তাদের এই কথাগুলোতো সাধারণ সামাজিক ভাষার মতো মনে হয় না, তারা নিশ্চয়ই অপরিচিতকরণ করেছেন আমাদের দৈনন্দিন প্রকাশকে, আর তাই রুশ আকরণবাদকে সাহিত্য বিশ্লেষণে আনা যায়।Mayeen Chowdhury’র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।
আপনার মতামত লিখুন :