শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮ নভেম্বর, ২০২১, ০১:৩৮ রাত
আপডেট : ০৮ নভেম্বর, ২০২১, ০৫:৪৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মঈন চৌধুরী: রুশ-আকরণবাদী সাহিত্যতত্ত্ব

মঈন চৌধুরী: রুশ আকরণবাদী সাহিত্যতত্তে¡র উদ্ভব ঘটেছিলো ১৯২০-১৯৩০-এর দশকে তৎকালীন রাশিয়া এবং চেকো ভোকিয়াতে। এ আন্দোলনের মূল প্রবক্তারা ছিলেন রোমান ইয়াকবসন, মিখাইল বাখতিন, জান মুকরারোভস্কি, রেনে ভেল্লেক প্রমুখ। রুশ আকরণবাদে বলা হয়, আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যে সামাজিক ভাষা আছে, তাকে সাধারণ ভাষা বা হিসেবেই গণ্য করা উচিত। সামাজিক ভাষার কাজ হলো একটি মানুষের সঙ্গে অন্য একটি মানুষের যোগাযোগ রক্ষা করা এবং এই ভাষার প্রয়োগ/আচরণ খুবই সহজ ও সরল। সাহিত্যের ভাষা কোনো অবস্থাতেই ‘সাধারণ ভাষা’ নয়, কারণ আমাদের সামাজিক ভাষাকে ‘অপরিচিতিকরণ’ করার মাধ্যমে ‘সাহিত্য-ভাষা’র সৃষ্টি হয়।

সাহিত্যের ভাষা যে আমাদের সামাজিক ভাষাকে অপরিচিতিকরণ করে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই এবং এ কারণে রুশ-আকরণবাদকে সাহিত্য-বিশ্লেষণে আনা যায়। কবি আল মাহমুদ কেন বলেন, ‘গাঙের ঢেউয়ের মতো বলো কন্যা কবুল কবুল’, কেন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তার উপন্যাস লালসালুতে লেখেন. ‘দূরে তাকিয়ে যাদের চোখে আশা জ্বলে তাদের আর তর সয় না, দিনমানক্ষণের সবুর ফাঁসির সমান। তাই তারা ছোটে ছোটে।’ তাদের এই কথাগুলোতো সাধারণ সামাজিক ভাষার মতো মনে হয় না, তারা নিশ্চয়ই অপরিচিতকরণ করেছেন আমাদের দৈনন্দিন প্রকাশকে, আর তাই রুশ আকরণবাদকে সাহিত্য বিশ্লেষণে আনা যায়।Mayeen Chowdhury’র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়