নিউজ ডেস্ক : জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। বন্ধ রয়েছে বাস, লঞ্চ, মিনিবাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। হেঁটে গন্তব্যে ছুটছে মানুষ। পথে পথে দুর্ভোগ। সীমাহীন কষ্ট। ভোগান্তির শিকার অফিসগামী ও বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার্থীরা। জনজীবনে নেমেছে অস্বস্তি। মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছালেও দাবি আদায়ে অনড় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলো। প্রথম আলো, মানবজমিন
পরিবহন মালিকরা বলছেন, হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়লেও ভাড়া সমন্বয় করা হয়নি। তাই ভাড়া বাড়ানো না হওয়া পর্যন্ত চলবে না এসব পরিবহন। আর ভাড়া বাড়ানো নিয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে পরিবহন ধর্মঘটের নামে পরিবহন খাতে নেতৃত্বদানকারী সংগঠনগুলো দেশের মানুষকে জিম্মি করছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে দেশে পরিবহন খাতে নৈরাজ্য আরও বাড়বে। তিনি পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দাবি আদায়ের জন্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাদের অনুরোধ করেন।
সড়কের সংকট সমাধানে বিআরটিএ পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী গণমাধ্যমকে বলেন, ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষিতে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে এ ধর্মঘট করছেন বাস-ট্রাক মালিকরা। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। রোববার আমাদের বৈঠক আছে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, রোববার সকাল ১১টায় বৈঠক আছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। অন্যদিকে লঞ্চের ভাড়া পুনঃনির্ধারণে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার বিকালে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পর ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :