সুজিৎ নন্দী: [২] জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে বাস চলাচল বন্ধের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কগুলোতে বেড়েছে রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের দখলে। দ্বিতীয় দিনের ধর্মঘটে সড়কে বের হওয়াদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বিকল্প হিসেবে বাধ্য হয়ে যারা এসব বাহনে উঠছেন তাদেরও গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। অনেকে বাধ্য হয়ে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা দিয়েছে।
[৩] সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, তেলের পাশাপাশি বেশির ভাগ বাস সিএনজি গ্যাসে চলে। যে বাস গ্যাসে চলে সেগুলো কখনোই ধর্মঘটের আওতায় আসে না। জনগণকে এভাবে ভোগান্তিতে না ফেলে অতি দ্রুত এ ব্যাপারে যেন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া দ্রুত প্রয়োজন বলে যাত্রীরা জানান। এদিকে মাঝে মাঝে ২/১টি বিআরটিসির বাস দেখা গেছে। নগরীর নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, আসাদগেট, ফার্মগেট, কল্যানপুর, শ্যামলী, মালিবাগ, কাকরাইল, পল্টনমোড় ঘুরে এরকম চিত্র এবং দেখা গেছে।
[৪] বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমাদের বাসভাড়া নির্ধারণ কমিটি আছে। বিআরটিএ অফিসে চেয়ারম্যান এবং মালিক ও শ্রমিক সমিতি রোববার সকাল ১১টায় মিটিং হবে। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণের পরে গাড়ি চলাচল শুরু হবে।
[৫] যে বাস গ্যাসে চলে সে বাস বন্ধ কেন চলে এ ব্যাপারে মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এ ব্যাপারে কাউকে বাস চলাতে নিষেধ করা হয়নি।
[৬] পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, মালিক-শ্রমিকরা গাড়ি বন্ধ রেখেছেন। কাল (রোববার) মিটিং এর পরে দ্রুতই এটি সমাধান হয়ে যাবে। তেলের দাম বাড়লে ভাড়া বাড়বে এটা স্বাভাবিক।
[৭] শুক্রবার থেকেই শুরু হয় ধর্মঘট। তবে প্রথমদিন ছুটির দিন হওয়ায় খুব একটা প্রভাব পড়েনি জনজীবনে। রোববার থেকে ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়বে।
[৮] বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিগুলোতে চলছে রিকশার দৌরাত্ম। গন্তব্যে যেতে রিকশাচালকরা হাঁকছেন অতিরিক্ত ভাড়া। আর এক একটি সিএনজি দেখলে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। এ সুযোগে বেশি ভাড়া চাইছেন সিএনজিচালকরাও।