জিয়া উদ্দিন: [২] বরগুনার আমতলীতে নবম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে মো. সোহেল (১৭) ও মারুফা আক্তারকে (১৪) গ্রেপ্তার করেছে আমতলী থানা পুলিশ।
[৩] শুক্রবার রাতে উপজেলার পুর্ব কৃষ্ণনগর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিচারক মো. সাকিব হোসেন তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
[৪] জানা গেছে, উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী শামীম আকনের কাছে দর্জি প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। এ সুযোগে শামীমের খালাতো ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী সোহেল (১৭) একদিন জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। পরে তার পর্নোগ্রাফি (নগ্ন) ছবি মোবাইলে ধারন করে রাখেন সোহেল। ওই পর্নোগ্রাফি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে সোহেল ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিন্তু স্কুল ছাত্রী এ অমানবিক নির্যাতন থেকে রক্ষান জন্য সোহেলের পরিবারের কাছে অভিযোগ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পর্নোগ্রাফি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
[৫] এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে আমতলী থানায় মা বাদী হয়ে সোহেলকে প্রধান করে তিনজনের নামে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে বখাটে সোহেল ও তার খালাতো বোন মোসা. মারুফা আক্তারকে (১৪) গ্রেপ্তার করে।
[৬] থানার এসআই নাসরিন বলেন, স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
[৭] আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় প্রধান আসামি সোহেলসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :