শিমুল মাহমুদ: [২] সাতক্ষীরা সদর উপজেলার স্বনামধন্য রিসোর্ট ‘মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি ও মিনি চিড়িয়াখানা’ থেকে বিপন্ন উল্লুক, লোনাপানির কুমির, মদনটাক পাখিসহ ৪৯টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
[৩] অভিযানে উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১টি গুঁইসাপ, ২টি অজগর, ১টি মদন টাক, ১টি ভুতুম পেঁচা, ৩টি বানর, ১টি দাগী রাজহাঁস, ১টি চখাচখি, ১৭টি পাতি সরালি, ১টি লোনা পানির কুমির, ৩টি চিত্রা হরিণ, ১টি ম্যাকাও, ২টি ময়ূর, ১টি শেয়াল, ১টি পালাসী ঈগল, ৩টি তিলা ঘুঘু, ১টি ধুপনী বক, ১টি ভুবন চিল, ১টি বাজপাখি, ১টি উল্লুক, ১টি হনুমান এবং ২টি সজারু।
[৪] এদের মধ্যে উল্লুক, লোনা পানির কুমির, মদনটাক, দাগী রাজহাঁস, খয়রা চখাচখি, সজারু ও পালাসী ঈগল আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) রেড লিস্ট গ্রন্থে মহাবিপন্ন (Critically Endangered) বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
[৫] বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট, খুলনার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং বন বিভাগ খুলনা অঞ্চলের যৌথ অভিযান প্রাণীগুলো উদ্ধার করা হয়।
[৬] বনবিভাগের পরিদর্শক ওয়াসিম মল্লিক জানান, গত মাসে দশ দিন ব্যাপী একটি এওয়ারনেস প্রোগ্রাম করি খুলনায়। সেখানে এওয়ারনেস করার পর মন্টু মিয়া উদ্বুদ্ধ হয়ে এ অবৈধ প্রাণী গুলো বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে।
[৭] তিনি বলেন, প্রাণীগুলোর বেশির ভাগেরই আবাসস্থল সুন্দরবনকেন্দ্রিক হওয়ায় তাদেরকে খুলনা বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেসকিউ সেন্টারে রেখে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রকৃতিতে ছাড়ার উপযোগী করে তোলা হবে এবং পরবর্তীতে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।
[৮] এর মধ্যে কিছু প্রাণী যেমন উল্লুক, সজারু, ও লালচে হনুমানের আবাসস্থল সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে হওয়ায় সেসব প্রাণীগুলোকে ঢাকায় বনপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটে কার্যালয়ে নিয়ে পরিচর্যার পর পরবর্তীতে ওইসব অঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :