শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর, ২০২১, ০৪:২৯ সকাল
আপডেট : ০৪ নভেম্বর, ২০২১, ০৪:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আহসান হাবিব: সাম্প্রদায়িকতার সমস্যা ও সমাধান

আহসান হাবিব
সাম্প্রদায়িকতার সমস্যা ধর্মের সহাবস্থানের মধ্যে নেই। এর সমাধান আছে রাজনীতির মধ্যে। যে রাজনীতি ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে আলাদা করতে পারবে, ব্যক্তিগত বিষয়ে পরিণত করতে সক্ষম হবে, সাম্প্রদায়িকতার সমাধান তাতেই হয়ে যাবে। রাষ্ট্র যদি নিজেই কোনো ধর্মকে প্রাধান্য দেয়, তাহলে কোনোদিনই এর সমাধান হবে না। ভারতীয় উপমহাদেশের রাষ্ট্রগুলো একেক ধর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে, ফলে এর সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা থাকে তারা ভিন্ন ধর্মের লোকদের ওপর নির্যাতন করে, সম্পদ লুণ্ঠন করে। একটি ধর্মের মধ্যে কী আছে বা নেই, তা দেখা রাষ্ট্রের কাজ নয়। উমুক ধর্ম সহনশীল, উমুক ধর্ম শান্তির, উমুক ধর্ম সাম্যবাদী- এসব দেখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব নয়। রাষ্ট্র চলবে রাষ্ট্রের নিয়মে, সংবিধানের আলোকে এবং সেই সংবিধানকে হতে হবে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান। একদল লোক বলছেÑ সকল ধর্মের লোকদের সহাবস্থান নিশ্চিত করলেই সাম্প্রদায়িকতার সমস্যা কেটে যাবে। আরে, দেশে দেশে তো সব ধর্মের লোক সহাবস্থানই করে কিন্তু তারাই তো একে অপরের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে যেকোনো ছুঁতায়। দেখা যায় এর পেছনে রাষ্ট্র মদদ যোগাচ্ছে। তার মানে রাজনীতি থেকে যতোদিন না ধর্ম বিযুক্ত হচ্ছে, ততোদিন সাম্প্রদায়িকতা যাবে না। যারা বর্তমান রাজনীতির মধ্য থেকেই কেবল শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথা বলে এর সমাধানের কথা বলছে, তাদের বগলে ইট আছে।

দুঃখজনক হচ্ছে, বাংলাদেশে এ ধরনের রাজনৈতিক দল নেই যারা ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে না। এমনকি যারা সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চায়, তারা শ্রমিক নয়, পেটিবুর্জোয়াদের স্বার্থ রক্ষা করতে চায় যাদের প্রধান অবলম্বন হচ্ছে ধর্ম। অর্থাৎ তারা নিজেরাই নিজেদের বিরোধিতা করছে। আবার বুর্জোয়ারাও ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে। ফলে বাংলাদেশে এই রাজনীতি দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার সমাধান হবে না। বরং তারা কী করে জিইয়ে রাখা যায় সেই চেষ্টায় করবে। একটি সহজ উদাহরণ হচ্ছে আওয়ামী লীগ কখনোই সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম বিলোপের চেষ্টা করবে না। মুখে তারা অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলবে, যেমন বামদলগুলোও বলে, কিন্তু রাষ্ট্রকে কখনোই ধর্ম থেকে বিযুক্ত করার পদক্ষেপ নেবে না। কে সেক্যুলার, কে আস্তিক, কে নাস্তিক, কে সাম্প্রদায়িক, কে অসাম্প্রদায়িক, কে সংশয়বাদী, কে অজ্ঞেয়বাদী- এসব দেখা রাষ্ট্রের কাজ নয় মানে রাজনীতির কাজ নয়। রাজনীতির কাজ সব মানুষকে ধর্ম সাপেক্ষে একই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা। এমন রাজনৈতিক দলের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল ছাড়া সাম্প্রদায়িকতার সমস্যা যাবে না। আমরা কি দেখতে পাবো সেরকম একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম? আপাতত কোন লক্ষণ দেখি না। লেখক : ঔপন্যাসিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়