মনিরুল ইসলাম: [২] জাতীয় সংসদে উত্থাপিত দুটি বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি।
[৩] বুধবার (০৩ নভেম্বর) বিকালে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ‘বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২১’ এবং ‘ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য বিল-২০২১’ নিয়ে আলোচনা হয়। আসন্ন সংসদ অধিবেশনে ২টি বিলের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
[৪] কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, মো. আব্দুস শহীদ, কাজী নাবিল আহমেদ এবং রুমানা আলী অংশ নেন।
[৫] এদিকে, গত ১৪ জুন বিদ্যমান হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে ওঠে। বর্তমান আইনে বলা আছে, করপোরেশনের কাছ থেকে কেউ যদি ঋণ গ্রহণে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বিবরণী দেন বা জেনে শুনে মিথ্যা বিবরণী ব্যবহার করেন বা করপোরেশনে যে কোনও ধরনের জামানত গ্রহণে প্রবৃত্ত হন, তাহলে দুই বছর কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
[৬] বিলে সেটাকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।
[৭] একইদিনে (১৪ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ডিজিটাল লেনদেনের নথি ও দলিল ‘সাক্ষ্য বহি’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে এ সম্পর্কিত উপনিবেশিক আমলের আইন বাতিল করতে ‘ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল-২০২১’ সংসদে তোলেন। ১৮৯১ সালের এ সংক্রান্ত আইন বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে।
[৮] ব্যাংকের লেজার বুক, ক্যাশ বুক এগুলোকে সাক্ষ্য বই বলা হয়।প্রস্তাবিত আইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেসব রেকর্ড হবে সেগুলোও ‘সাক্ষ্য বহি’ হিসেবে আইনে বিবেচিত হবে। ব্যাংকগুলোর লেজার বুক, ক্যাশ বুক, লোন ডেসপাস বুক যা আছে, সবই এর অন্তর্ভুক্ত হবে।