নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কেনাকাটা সংক্রান্ত নথি গায়েবের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন বৃহস্পতিবার। তবে বেঁধে দেওয়া সময়ে তা জমা দেওয়ার সম্ভাবনা কম। বাড়ানো হতে পারে সময়। যুগান্তর
এ প্রসঙ্গে জানতে বুধবার তদন্ত কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে একাধিকবার তার মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
কমিটির সদস্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) মো. আহসান কবীর বলেন, প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে কাল (বৃহস্পতিবার)। সে হিসেবে তথ্য উপস্থাপনের কথা। তবে এখনো সব সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করা সম্ভব হয়নি। এটি নিয়ে কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত সাত-আটজনের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।
সিআইডির দপ্তরে ব্যস্ত থাকায় কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীকে সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের কাল (বৃহস্পতিবার) সকালে পেলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা (বক্তব্যের রেকর্ড) নেব। আমরা চেষ্টা করছি, এখন সব সাক্ষীকে পেলেই প্রতিবেদন দিয়ে দেব।
আহসান কবীর আরও বলেন, সঠিক তথ্য উদঘাটন করতে গিয়ে একজনের তদন্তে আরেকজনের নাম আসলে তাকে পৃথকভাবে ডাকা হয়। ফলে এই দপ্তর সংশ্লিষ্ট প্রায় সবার বক্তব্য নেওয়া হবে। সব সাক্ষীদের বক্তব্য না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হবে না। এ কারণে কবে নাগাদ হবে সেটাও বলা যাচ্ছে না। আরেকটি বিষয়, তদন্ত কমিটি যখন কাজ করে, তখন একটা কর্তৃপক্ষ দিয়ে অনুমোদিত হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছে যদি সময়মতো তথ্য জমা দিতে না পারে, তাহলে আরও সময় চাওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ সময় মঞ্জুর করলে সেভাবে কাজ করা হয়। এক্ষেত্রে কতদিন সময় দেবে সেটা কর্তৃপক্ষের ওপর নির্ভর করে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েবের ঘটনা সামনে আসায় সমালোচনার মুখে পরে মন্ত্রণালয়। একজন উপসচিব তড়িঘড়ি করে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এদিকে নথি খোয়া যাওয়ায় ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।