শিমুল মাহমুদ: [২] টিকা না নিয়েও টিকার সার্টিফিকেট পাওয়ার তথ্য-প্রমাণসহ বাংলা ট্রিবিউন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে নজরে এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
[৩] বুধবার (০৩ নভেম্বর) সন্ধায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, বিষয়টি খুবেই অনাকাক্সিক্ষত এবং গুরুতর অপরাধমূলক কাজ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ ঘটনা সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তদন্ত করছে। খুব দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
[৪] প্রতিবেদনে টিকা দেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে ঢাকার মিরপুরের ডেন্টাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল দেখানো হয়েছে। কিউআর কোড স্ক্যান করে দেখা যায়, সুরক্ষা ওয়েবসাইটে এটি ভ্যালিড (আসল) সার্টিফিকেট। অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে যাচাই করেও সনদটির বৈধতা পাওয়া যায়।
[৫] হাসপাতাল পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. বোরহান উদ্দিন হাওলাদার বলেন, টিকা কার্ড তার কেন্দ্র থেকে ইস্যু করা হয়েছে, এমন ঘটনা তার ‘নলেজে’ নেই।
[৬] অনুসন্ধানে জানা গেছে, চক্রটি শুধু ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট নয়, টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন দেয়ার তারিখও বদলে দিতে পারে। সশরীরে কারো সঙ্গে দেখা করে না তারা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকলেও তারা আদৌ কোনো পদে আছেন কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
[৭] তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সিস্টেমস ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ জানিয়েছেন, ‘সুরক্ষা’ তৈরি ও কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের মাধ্যমে হচ্ছে। তবে টিকা দেওয়া ও সার্টিফিকেট সংক্রান্ত তথ্যের ইনপুটসহ যাবতীয় কাজ অধিদপ্তরের লোকজন করে।
আপনার মতামত লিখুন :