শওগাত আলী সাগর: ১.যে কেউ চাইলেই যে কোনো বিষয়ে যে কারো বিরুদ্ধে মামলা করে দিতে পারে!আর সব মামলাই আদালত গ্রহন করে ফেলে! মামলাটিতে বিচারের উপাদান আছে কী না, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এই মামলা করতে পারেন কী না- এসব বিষয়ে আদালতের স্ক্রুটিনি করার কোনো ব্যবস্থা নাই? সব বিষয়ই আদালত এন্টারটেইন করবেন কেন?
২.কেউ একজন গিয়ে বললো- আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে, তার সেটিই চূড়ান্ত হয়ে যাবে? আসলেই কিছুই হয়েছে কী না, সেটা দেখভাল করার, সিদ্ধান্ত দেয়ার কেউ থাকবে না! কেন থাকবে না?
৩.ধর্মীয় অনুভূতি কী বাংলাদেশে কেবল একটি ধর্মের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য? অন্য কোনো ধর্ম, অন্য কারো ক্ষেত্রে এই অধিকার প্রযোজ্য নয়!
৪.ধর্মীয় অনুভূতি, চেতনাবোধ, সংস্কৃতিবোধ- এইসব নিয়ে মামলা করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সুস্পষ্ট একটা নীতিমালা থাকা দরকার। আদালতও সেটি করতে পারেন।
৫.মামলাজটে হিমসিম অবস্থায় থাকা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার উপর এইসব উটকো, বাড়তি চাপ দেয়ার প্রবণতা বন্ধ করা হোক।
আপনার মতামত লিখুন :