ইমরুল শাহেদ: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এই বছরই হয়তো পারব না। আগামী বছরের শুরুতে কার্যক্রম শুরু করব। আমার ছেলে মনি নিশাতের জন্য হলেও করতে হবে। তাকে বিদেশ পাঠাতে অনেক চেষ্টা করেছি। সে যাবে না। দেশের থাকবে এবং চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকবে। এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অঞ্জনা ফিল্মস আবার সচল করব এবং তাতে আমার ছেলে সহযোগী প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। আমার প্রযোজিত ছবিগুলোতে আমি শুধু বিনিয়োগই করব না। অভিনয়ও করব এবং ছবি পরিচালনা করারও ইচ্ছা আছে আমার।’ অঞ্জনা ফিল্মস থেকে এর আগে বেশ কয়েকটি ছবি প্রযোজিত হয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অনজু অভিনীত ‘প্রাণ সজনী’। এই ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন খ্যাতিমান চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা জহিরুল হক। অঞ্জনা রহমান সেন্সর বোর্ডেরও সদস্য। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা যেসব দেখছেন সে সব ছবি চলচ্চিত্রশিল্প উজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা। তিনি বলেন, ‘আমি গত জুন মাস থেকে সেন্সর বোর্ডে ছবি দেখতে শুরু করেছি। প্রথম প্রথম যে ছবিগুলো দেখেছি, তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে, বড় বাজেটের টেলিফিল্ম।
নাটকের আদলে নির্মিত। পরে কিছু ছবি দেখেছি সেগুলোর কোনো কোনোটিকে আমার কাছে চলচ্চিত্র মনে হয়েছে। তবে সেগুলো দিয়ে চলচ্চিত্র বাণিজ্য উজ্জীবিত হবে কিনা সে কথা বলতে পারব না।’ কথার মধ্যে অঞ্জনার কাছ থেকে যে ইঙ্গিতটা পাওয়া যায় সেটা হলো, টেলিফিল্মের আদলে নির্মিত যে ছবিগুলোর কথা বলা হয়েছে, সেটা হলো বড় বাজেটের কথাই কেবল বলা হয়েছে। টাকা খরচের কোনো নমুনা বা ছাপ ছবিতে নেই। সুতরাং যেনতেনপ্রকারেণ ছবি দিয়ে কখনো একটি শিল্প জীবন লাভ করতে পারে না। অভিনয় জগত ছাড়লেন কেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা যারা চলচ্চিত্রাভিনয় ছেড়ে দিয়েছি, তারা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। কারণ আমরা বাণিজ্যিক ছবিতে কাজ করে পরিচিতি বা খ্যাতি পেয়েছি। চলচ্চিত্রে যখন অশ্লীলতা যুক্ত হলো তখনই চলচ্চিত্র ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আপনার মতামত লিখুন :