এম আর আমিন: [২] চট্টগ্রাম বহদ্দারহাটের এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটল ধরা পড়ার পর ফ্লাইওভারের তিনটি মুখে লোহার সেফটি গেট বসানোর কাজ শেষ করেছে চসিক। তবে এই সেফটি গেট বসানোর কাজ শেষ হলেও যান চলাচলের জন্য প্রকৌশল বিভাগের আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত আসলে তারপর খুলে দেয়া হবে জানিয়েছে চসিকের প্রকৌশল বিভাগ।
[৩] এদিকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিজাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড কনসাইনমেন্টের (ডিপিএম) বিশেষজ্ঞ দলও সেটিকে ফাটল নয়, মূলত এটি আন ফিনিশিং জয়েন দাবি করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ারও পরামর্শ দেন।
[৪] কিন্তু এতে আশ্বস্ত হতে পারেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ফলে ফ্লাইওভারের র্যাম্পের পিলারে ফাটল পরীক্ষায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। সেফটির জন্য বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের দেখা যায় ভারি গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে ব্যারিয়ার হিসাবে লোহার তৈরি এ সেফটি গেট বসানো হয়েছে। এই সেফটি গেটের উচ্চতা ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি। ব্যারিয়ার বসানোর ফলে এসব অংশ দিয়ে ফ্লাইওভারে ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না।
[৫] চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী জানান, ফ্লাইওভারের পিলারে ফাটল ধরা পড়ার পর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ওই অংশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে তিনটি মুখে সেফটি গেট বসানো হয়েছে। তবে এখনই খুলে দেয়া হচ্ছে না এই মুখগুলো। প্রকৌশল বিভাগের আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার পর খুলে দেয়া হবে।
[৬] সরেজমিনে দেখা যায় ফ্লাইওভারের রক্ষনাবেক্ষনের কাজের চেয়ে সুন্দর্য বর্ধনের কাজ দূরত্ব গতিতে এগিয়ে চলচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর সোমবার বহদ্দারহাট এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের কালুরঘাটমুখী আরাকান সড়কের সাথে সংযুক্ত র্যাম্পটিতে ফাটলের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ওইদিন রাতেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও সিএমপি মিলে যান-চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
[৭] ২০১২ সালের নভেম্বরে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৭ জন মারা গেলে এর নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্ব পায় সেনাবাহিনী। নির্মাণকাজ শেষে ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর ফ্লাইওভারটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।