সুজন কৈরী:[২] রাজধানীর সায়দাবাদ, মনিপুরীপাড়া, রাজারবাগ ও শেওড়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩১৭টি অবৈধ ওয়াকি-টকি ওয়্যারলেস সেট ও ১১৬টি মোবাইল ও ৫ হাজার ২৪৪টি বিভিন্ন প্রকার সরঞ্জামাদিসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে র্যাব। জব্দ ওয়াকি-টকিসগহ সরঞ্জামের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
আটকরা হলেন- মেহেদী হাসান, সাদিক হাসান, ফয়সাল, তালিবুর রহমান ও ফারুক হাসান।
শনিবার থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত বিটিআরসি’র সহযোগিতায় এই অভিযান চালায় র্যাব-১০।
[৩] র্যাব জানায়, ওয়াকি-টকি সেটের অবৈধ আমদানি, মজুত, বিক্রি, বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রদর্শন, ইজারা প্রতিহত করার লক্ষ্যে যৌথ অভিযানটি চালানো হয়। অভিযানকালে মেহেদীর কাছ থেকে ২২৪টি, ফারুকের কাছ থেকে ৩০ এবং পলাতক গোলাম মোহাম্মদ ফেরদৌসের বাসা থেকে ৬৩টি ওয়াকি-টকি ওয়্যারলেস সেট ও আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
[৪] রোববার কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ জানায়, আটকরা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ওয়াকি-টকি ব্যবহারের জন্য কোনও প্রকার লাইসেন্স বা তরঙ্গ গ্রহণ করেন নি। এছাড়াও একই আইনের ৫৭(৩) ধারা অনুযায়ী ওয়াকি-টকি আমদানি করার আগে বিটিআরসি থেকে অনাপত্তি পত্র গ্রহণের বিধান থাকলেও আটকরা তা ভঙ করে অবৈধভাবে ওয়াকি-টকিগুলো আমদানি এবং প্রদর্শন করে বিক্রি করেছেন। আটকরা চট্টগ্রামের কতিপয় ব্যক্তির মাধ্যমে বিদেশ থেকে দীর্ঘ এক বছর ধরে লাইসেন্স ছাড়া ওয়াকি-টকি সেট ও সরঞ্জমাদি অবৈধ পথে সংগ্রহ করেছিলেন।
[৫] আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব বলছে, এ পর্যন্ত আটকরা আনুমানিক ১১৫০টি ওয়াকি-টকি সেট অবৈধ পন্থায় ক্রয় বিক্রয় ও ইজারা দিয়েছে। এক্ষেত্রে ওয়াকি-টকি সেট ও প্রয়োজনীয় তরঙ্গ ব্যবহারের লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে সরকার যে মূল্যবান রাজস্ব আহরণ করতো, তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মূলতঃ সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে পলাতক ব্যক্তিসহ আটকরা অবৈধ উপায়ে ওয়াকি-টকি ও সরঞ্জমাদি আমদানি করেছে।
[৬] র্যাব জানায়, বিটিআরসি থেকে জারীকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কালো রঙের ওয়াকি-টকি সেট ব্যবহার করতে পারবেন না। এটি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এক্ষেত্রে আটকরা দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে অবৈধভাবে সাধারন মানুষের কাছে কালো রঙের ওয়াকি-টকি সেট বিক্রয় করেছে যা সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। এই ধরণের অবৈধ ওয়াকি-টকি সেট ব্যবহার করে অপরাধী চক্র ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, দস্যুতা, চাঁদাবাজি, প্রতারণাসহ বহুবিধ অপরাধ করে থাকে। আটকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :