মাসুদ আলম: [২] কামরুল ইসলাম ওরফে জলিল ওরফে ডিজে কামরুল ওরফে ড্যান্স কামরুল ২০০১ সালে কুমিল্লা থেকে আসেন ঢাকায়। এরপর বাড্ডা এলাকায় শুরু করেন রিকশা চালানো। এরপর কৌতূহলবশত এফডিসি ও বিভিন্ন শুটিং স্পটে আসা-যাওয়া শুরু তার। এরপর হাতিরঝিল এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেন কথিত ‘ড্যান্স ক্লাব’। উঠতি বয়সী মেয়েদের বিনোদন জগতে প্রবেশের নামে প্রলুব্ধ করতো। তাদের উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করতো কামরুল।
[৩] শনিবার সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, শুক্রবার রাতে রাজধানীর মিরপুর, উত্তরা, তেজগাঁও ও চুয়াডাঙ্গা থেকে বিদেশে পাচার হতে যাওয়া ২৩ জন নারীকে উদ্ধার করে র্যাব-৪। মানবপাচারকারী ২টি চক্রের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে মোহাম্মদপুর, খিলক্ষেত ও চুয়াডাঙ্গা থেকে ভারতে পাচার চক্রের হোতা ড্যান্স কামরুল, রিপন মোল্লা, আসাদুজ্জামান সেলিম ও নাইমুর রহমান শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৪] তিনি বলেন, এছাড়া তেজগাঁও ও উত্তরা থেকে মধ্যপ্রাচ্যে নারী পাচারচক্রের মূলহোতা- নুর নবী ভুইয়া রানা, আবুল বাশার, আল ইমরান, মনিরুজ্জামান, শহিদ শিকদার, প্রমোদ চন্দ্র দাস ও টোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ৫৩টি পাসপোর্ট, ২০টি মোবাইল, বিদেশি মদ, ২৩ ক্যান বিয়ার, দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
[৫] মঈন বলেন, কামরুল চক্রের ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য রয়েছে। চক্রটি ভিকটিমদের নাচ বা ড্যান্স শেখানোর নামে প্রত্যন্ত অঞ্চলের থেকে সুন্দরী মেয়েদের ঢাকায় নিয়ে আসতো। পরে তাদের বেপরোয়া জীবনযাপনে অভ্যস্ত করা হতো। পার্শ্ববর্তী দেশের মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারসহ লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কাজে জন্য পাচার করতো।
[৬] তিনি আরও বলেন, নুর নবী চাকরির প্রলোভন দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নারীদের বিক্রি করে দিতো। চক্রটি ৩০ থেকে ৩৫ জন নারী পাচার করে।
আপনার মতামত লিখুন :