রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের বিজেপিশাসিত হরিয়ানার গুরুগ্রামে জুমার নামাজের সময় হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকে। দি হিন্দুস্তান
[৩] ‘এনডিটিভি’ বলছে পুলিশ শুক্রবার ৩৭টি স্থানে নামাজ পড়ার অনুমতি দিলেও গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে কিছু হিন্দু সংগঠন নামাজে বাধা দিচ্ছে।
[৪] গত সপ্তাহে গুরুগ্রামের ১২-এ সেক্টরে জুমার নামাজে ‘বজরং দল’-এর কর্মীরা বাধা দেয় এবং ‘জয়শ্রী রাম’ স্লোগান দেয়। ভোয়া
[৫] হরিয়ানার সেক্টর ৪৭-এ একই ধরনের বিক্ষোভ হয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের কয়েকদফা আলোচনায় কোনো সমাধান হয়নি। এএনআই
[৬] জমিয়ত উলামা সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ সেলিম বলেছেন, গুরুগ্রামে লক্ষাধিক মুসলমান থাকলেও মাত্র ১৩টি মসজিদ থাকায় খোলা জায়গায় নামাজ পড়তে হচ্ছে। দি প্রিন্ট
[৭] মুফতি সেলিম বলেন যদি জনসংখ্যা অনুসারে মসজিদের জন্য জমি দেওয়া হয়, তবে মুসলিমরা খুশির সাথে বন্ধ জায়গায় নামাজ পড়বে।
[৮] সেক্টর-১২তে বসবাসকারী ২৫ বছর বয়সী মেকানিক জাকির হুসেন বলেন, সবচেয়ে কাছের মসজিদটি সাত কিলোমিটার দূরে। জাকির বলেন, ‘আমাদের বস দিনে এক ঘণ্টা বিরতি দেন। এ সময় নামাজ পড়তে হয় এবং খাবার খেতে হয়। সেখানে পৌঁছতে আমাদের অনেক টাকা খরচ হবে। এই জমিতে নামাজ পড়তে না পারলে আমরা ইবাদত করতে পারব না।
[৯] বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন বলেছেন, তার সংগঠন আন্দোলনে যোগ দিয়েছে এবং ‘গুরুগ্রামকে সিরিয়া বা আফগানিস্তান হতে দেওয়া হবে না।
[১০] সুরেন্দ্র আরো বলেন প্রতি সপ্তাহে এই ধরনের জুমার নামাজ একটি অশিষ্ট প্রদর্শন, যা আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা সেখানে গিয়ে ‘হনুমান চালিসা’ পাঠ করব। পারসটুডে
আপনার মতামত লিখুন :