শিরোনাম
◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ০১:৪৬ রাত
আপডেট : ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ০১:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শরিফুল হাসান: মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কি স্কুলের শিক্ষার্থী খুঁজছে

শরিফুল হাসান
তারা কি স্কুলের শিক্ষার্থী খুঁজছে নাকি কোরবানির জন্য গরু বা বাছুর? নয়তো কী করে স্কুলের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে লেখে, উচ্চতা ৩ ফুট ৮ ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না, মুখে ২০টা দুধদাঁত থাকতে হবে! মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২০২২ সালে প্লে গ্রæপে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট এই যোগ্যতা ও নিয়মাবলি বেঁধে দিয়েছে। ‘শিক্ষার্থীর যোগ্যতা’ অংশে বয়স, উচ্চতা, ওজন, দুধদাঁত, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা সংক্রান্ত নানা শর্ত দিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। ওজনের অংশে তিনটি উপশর্ত দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো শিক্ষার্থীর সব দুধদাঁত (২০টি) অটুট থাকতে হবে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে। ছোঁয়াচে রোগ থাকলে ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে না। ৪/৫ বছরের বাচ্চার ভর্তির সময় শিশুর ওজন ১৩ থেকে ২১ কেজির মধ্যে হতে হবে, এর বেশি হলে ভর্তি নেবে না তারা। এসব শর্তের কারণ হিসেবে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বেলায়েত হুসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে সুন্দর একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা। মোটা বাচ্চারা দুষ্টু বেশি হয়। তাদের চেয়ে অন্য বাচ্চাদের সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’
অধ্যক্ষ আরও বলেছেন, ১৯৭৬ সালে স্কুল প্রতিষ্ঠার সময়ই এই যোগ্যতাগুলো ঠিক করা হয়। তখন থেকেই এই নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে। নিয়মে আর পরিবর্তন আনা হয়নি। এ বিষয়ে স্কুলের অভিভাবক কমিটির মধ্যে দুয়েকজন ছাড়া অন্য কেউ জোরালোভাবে আপত্তি জানাননি। এ কারণে তাঁরা নিয়ম পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেননি। শিক্ষার্থীকে ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হতে হবে’ বলতে প্রতিবন্ধী শিশুদের ভর্তি নেওয়া হবে না বোঝানো হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, ‘হ্যাঁ, তাই। স্বাভাবিক শিশুদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুরা পড়তে পারে না। এখানে অভিভাবকেরা অনেক অর্থ খরচ করে সন্তানদের পড়ান। প্রতিবন্ধী শিশুরা পিছিয়ে থাকে। তাদের দিকে আলাদা নজর দেওয়ার মতো শিক্ষক আমাদের নেই। ভর্তির বিজ্ঞপ্তিটা দেখে, খবরটা পড়ে, অধ্যক্ষ সাহেবের কথা শুনে ভীষণ আহত হলাম। এগুলো ‘অগ্রহণযোগ্য’, ‘আপত্তিকর’ ও ‘বৈষম্যমূলক’। দ্রæত এসব নিয়ম বাতিল এবং ওই স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবক নেতাদের কাউন্সিলিং দাবি করছি। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকসহ সবার বিবেক ও বোধ সত্যিকারের শিক্ষকদের মতো হোক এই কামনা। ঝযধৎরভঁষ ঐধংধহ-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়