জাহাঙ্গীর লিটন : [২] জেলার ওয়াপদা খালের স্রোতে তলিয়ে যাওয়া বাবুল হোসেন (৪৫) নামের নির্মাণ শ্রমিকের মরদেহ ৩০ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের পশ্চিম দিঘলী গ্রামে খালে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
[৩] ঘটনাস্থল থেকে আধাকিলোমিটার দূরে ইসলাম পাটওয়ারী বাড়ির সাঁকো এলাকায় তার মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের অভিযানিক দল ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
[৪] হতভাগ্য বাবুল ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর গ্রামের সঞ্জু মিয়ার ছেলে। সে সেতু নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়ে আছে।
[৫] এরআগে বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নির্মাণাধীন ওয়াপদা সেতুর কাজে ব্যবহৃত একটি ছোট ড্রাম উদ্ধার করতে গিয়ে বাবুল ডুবে গিয়ে পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৭ ঘন্টা উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও ওই শ্রমিকের সন্ধান পাননি।
[৬] জানা গেছে, ওয়াপদা খালের ওপর সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নুরজাহান এন্টারপ্রাইজ ওয়াপদা সেতু নির্মাণ কাজটি পেয়েছেন। কয়েকমাস ধরেই নতুন সেতু নির্মাণে কাজ করছেন শ্রমিকরা। বুধবার সকালে ফাইলিং কাজ চলছিল। এসময় একটি ছোট ড্রাম খালে পড়ে যায়। ড্রামটি উদ্ধার করতে বাবুল পানিতে নামে। প্রবল স্রোতে ড্রামটি টেনে আনলেও হাত থেকে ফসকে যায়। ফের ড্রামটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করতে গেলে তিনি ডুবে গিয়ে স্রোতে হারিয়ে যান। এক সহকর্মী তখন তাকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়েও পারেননি।
[৭] চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসেছি। নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :