ইমরুল শাহেদ: মাদককাণ্ডে আলোচিত ও সমালোচিত পরীমণির ব্যস্ততা এখন আদালতপাড়া ও লোকেশন। তার মধ্যেই একদিন ছুটি নিয়ে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োনজন জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান। ডিবি, সিআইডি ও জেলখানা নিয়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়াটাকে জন্মদিনের আয়োজনে উজ্জীবিত করে তোলার চেষ্টা করেছেন।
এই দিনে তার উদ্দাম নাচও আলোচনার একটা বিষয় হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ তার এই উদ্দাম নাচকে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও বেশির ভাগই নেতিবাচক হিসেবে ধরে নিয়েছেন। তার প্রভাব চলচ্চিত্রশিল্পেও পড়েছে। তবে পরীমণি এ ব্যাপারে একেবারেই বেপরোয়া। তিনি মনে করেন, কে কি ভাবলো তাতে তার কিছু এসে যায় না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পর গিয়াসউদ্দিন সেলিম ‘গুনিন’ ছবির শুটিং করছেন মানিকগঞ্জে। সেখান থেকে এসে তিনি জন্মদিন পালন করেন। এদিন সন্ধ্যার পর আমন্ত্রণ জানালেন বেছে বেছে। ড্রেসকোডের ছলে বলে দিলেন, এবার তিনি উড়বেন শান্তির সাদা আর রেড অক্টোবরের মশাল নিয়ে। তাই মেয়েদের জন্য লাল আর ছেলেদের জন্য সাদা পোশাকের আবদার রাখলেন। দাওয়াতপত্রেও রাখলেন নতুনত্ব।
উড়োজাহাজের বোর্ডিং পাসের আদলে করেছেন ইনভাইটেশন কার্ড। যেখানে তিনি আমন্ত্রিতকে আহ্বান করেছেন এই বলে, ‘নিখাদ হৃদয় নিয়ে তুমি আমার কাছে এসো, এরপর আমার সঙ্গে উড়াল দিও- অনন্ত আকাশে।’ এমন আহ্বান কিংবা দাওয়াতের আইডিয়া সচরাচর মেলে না, নায়িকা তো নয়ই- আজকাল আর তেমন কোথাও না। কিন্তু সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে কাটান। এই জন্মদিনকে ঘিরে আরও একটি বিশেষ বিষয় ফিরে এলো চলচ্চিত্রে। পরীমণির শুটিং চলতি সিনেমা ‘প্রীতিলতা’র পক্ষ থেকে ২৪ অক্টোবর প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ১ মিনিট) ইন্টারনেটে প্রকাশ হয় ভিউকার্ড! একটা সময় ছিল যখন চলচ্চিত্র তারকাদের ছবি, সিনেমার দৃশ্য দিয়ে ভিউকার্ড প্রকাশ হতো। বিক্রি হতো পথে পথে কিংবা দোকানে। প্রিয় তারকাদের সেই ভিউকার্ড সংগ্রহ করতো ভক্তরা। বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সৌন্দর্য ছিল এই ভিউকার্ড কালচার। প্রায় দুই দশক পর পরীমণির জন্মদিনকে ঘিরে সেই ভিউকার্ড সংস্কৃতি ফিরে এলো। সূত্র: বাংলাট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :