শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর, ২০২১, ০৬:০৩ বিকাল
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০২১, ০৬:০৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মাদক কারবারীদের টার্গেট সকল স্থরের শিক্ষার্থীরা

আবু হাসাদ: [২] রাজশাহীর পুঠিয়ায় থানা-পুলিশের শীর্ষ তালিকায় রয়েছেন অর্ধশতাধিক শীর্ষ মাদককারবারী। তাঁরা হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রথম টার্গেট করছেন।

[৩] নতুন ক্রেতা বৃদ্ধি করতে তাঁরা বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে মাদকদ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছেন। আইনি তদারকি না থাকায় তাঁরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে অনেক শিক্ষার্থী এখন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে বলে দাবি করছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা।

[৪] থানা সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছরে এই এলাকায় মাদকের কারবার কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। সেই তথ্যমতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শীর্ষ মাদক কারবারীদের একটি তালিকা তৈরির নির্দেশ দেয়। নির্দেশ মোতাবেক গত ২০২০ সালের শেষের দিকে এলাকার অর্ধশতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর একটি তালিকা তৈরি করা হয়। ওই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চিহ্নিত ২৭ জনের নাম। তাঁদের মধ্যে একাধিক জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও ছাত্রনেতাদের নামও তালিকায় উঠে এসেছে।

[৫] জাহিদ হোসেন নামের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে সদর এলাকার একটি কলেজে পড়ে। এলাকার চিহ্নিত দুজন মাদককারবারী ওই কলেজে প্রতিদিন আসা-যাওয়া করেন। তাঁরা সেখানে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলছেন। আর ওই শিক্ষার্থীরা এখন মাদকাসক্ত। ছেলেকে চোখে চোখে রাখতে প্রায় প্রতিদিন আমিও তার সঙ্গে কলেজে আসি।

[৬] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, মাদক ব্যবসায় এখন রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা জড়িয়ে পড়েছেন। আর বিশেষ সুবিধা নিয়ে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করছেন একজন শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা। ওই নেতা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করেন। আর মাঝেমধ্যে দু-একজন ছোটখাটো ব্যবসায়ীকে পুলিশ আটক করলেও শীর্ষ কারবারীরা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিষয়গুলো নিয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অভিযোগ তুলেও কোনো সুফল আসছে না।

[৭] এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু বলেন, একসময় পাড়া-মহল্লায় কোনো মাদকসেবী ছিল না। এখন মাদকসেবী প্রায় ঘরে ঘরে রয়েছে। বখাটেরা কখনো কারও বন্ধু হয় না। প্রতিটি পরিবারের উচিত তাঁদের সন্তানদের সব সময় নজরে রাখা।

[৮] পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, মাদকের সঙ্গে আমরা কোনো আপস করি না। তবে আমি এই থানায় আসার আগে শীর্ষ মাদককারবারীদের একটি তালিকা হয়েছে। আমরা তালিকার সঙ্গে এলাকায় কিছু নতুন মাদক বিক্রেতার তথ্যও পাচ্ছি। এরই মধ্যে অনেককে আটক করেছি। বাকিদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়