এল আর বাদল: [২] সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ জুডো ফেডারেশনের। এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় ফেডারেশনটি অনেক নারী ও পুরুষ খেলোয়াড় সৃষ্টির পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পদক অর্জন করেছে। এবারই প্রথমবারের মতো একজন নারী জুডোতারকা কামরুন নাহার হিরু সাধারণ সম্পাদক হিসাবে সংগঠনের নেতৃত্বে এলেন।
[৩] তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। গত রোববার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জুডো ফেডারেশনের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করে। সব কটি পদেই একটি করে মনোনয়ন জমা পড়েছিল। ফলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২২ সদস্যের সবাই নির্বাচিত হন।
[৪] এই প্রতিনিধিকে কামরুন নাহার হিরু বলেন, তৃণমূল থেকে জুডো খেলোয়াড় খুঁজে বের করে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হবে আমার প্রথম কাজ। এছাড়া জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে নারী ও পুরুষদের জুডো প্রতিযোগিতা নিয়মিত মাঠে রাখতে কাজ করে যাবো। এক কথায় জুডোর উন্নয়নই হচ্ছে আমার প্রধান লক্ষ্য।
[৫] আশি-নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের খ্যাতিমান জুডোতারকা ছিলেন কামরুন নাহার হিরু। বহির্বিশ্ব থেকে মহিলাদের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষে ১৯৮১ সালে এশিয়ান জুডো চ্যাম্পিয়নশীপে প্রথম আন্তর্জাতিক পদক (ব্রোঞ্জ) এনেছিলেন তিনিই। তবে ১৯৭৮ বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক ব্রোঞ্জ পদক পায় পুরুষদের বক্সিং ইভেন্ট থেকে।
[৬] কামরুন নাহার হিরু বছরের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসাবে ২০০২ সালে জাতীয় পুরস্কার পান। এ ছাড়া বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কারও পান তিনি। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে প্রশিক্ষক ও সংগঠক হিসেবে জুডোর সঙ্গেই নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন এই কৃতী নারী। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ
আপনার মতামত লিখুন :