শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:৩০ রাত
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০২১, ০৩:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মামুন: গবেষণা নয়, যারা রাজনীতি করে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃতে

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মামুন
অনেকেই যারা মনে করেন করোনায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা কী আরাম আয়েশে দিন কাটিয়েছে। তাদের জন্য এই স্ট্যাটাস। গবেষণার দিক থেকে আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কেটেছে। ৩টি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে যার ২টি কেয়স সলিটনস ফ্রাক্টালসে এবং ১টি ফিজিক্যাল রিভিউ ই জার্নালে। এছাড়া সম্প্রতি আরেকটি আর্টিকেল একসেপ্ট হওয়ার ইমেইল পেয়েছি। তাছাড়া সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো এই সময়ে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার একজন বিখ্যাত অধ্যাপিকার সঙ্গে কোলাবোরেশন স্থাপন করে তার সঙ্গে ৩টি আর্টিকেল ইতোমধ্যেই লিখেছি যার একটি সাবমিশন পর্যায়ে আছে। এ সকল কাজের সঙ্গেই আমার মাস্টার্সের থিসিস ছাত্ররা জড়িত। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এতো দ্রæত এতোগুলো কাজের অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। তাছাড়াও আমার থিসিস ছাত্রদের সঙ্গে আরও কিছু কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। আর অনলাইনে ক্লাস নেওয়া, অনলাইনে বিদেশি গবেষকদের সেমিনার লেকচার আয়োজন করাতো নিয়মিত কাজের অংশই ছিলো।

উপরের কথাগুলো বলার একটা উদ্দেশ্য আছে। গবেষণার জন্য কিছু পরিবেশ লাগে। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং রাষ্ট্রের প্রশাসন মিলে এই পরিবেশটা গবেষকদের জন্য তৈরি করে দিতে হয়। যেই শিক্ষকরা বেশি গবেষণা করবে তাদের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ এবং শ্রেণিকক্ষের ক্লাস লোড কমিয়ে দিতে হয়। এটাই হলো একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের লিটমাস টেস্ট। এতে শিক্ষকরা গবেষণার জন্য উজ্জীবিত হয়। এছাড়া গবেষকদের গবেষণার জন্য গবেষণা ভাতা (যেমন বুয়েট প্রতি আর্টিকেলের জন্য একটি বড় অংকের প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে) বা ইনক্রিমেন্ট দিতে পারে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার থেকেও গবেষণার মূল্যায়নের ভিত্তিতে দ্রæত প্রমোশনের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি কাজ করলে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি। আমাদের দেশে কী হয়? গবেষণা না বরং যারা রাজনীতি করে তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে। এমনও দেখেছি যারা রাজনীতি করে তারা তাদের নির্ধারিত কোর্সে ২০ শতাংশ ক্লাসও না নিয়ে কোর্স শেষ করে দেয়। কারণ গবেষণা এবং ক্লাস না নিয়ে রাজনীতি করলেই যদি এসব অন্যায় করেও শুধু পার পাওয়া নয় উল্টো রিওয়ার্ড পায় তাহলে কেন শিক্ষকরা গবেষণা করবেন বা শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত ক্লাস নেবেন? শিক্ষকদের দিয়ে গবেষণা করাতে চাইলে তাদের পর্যাপ্ত অবসর দিন। শ্রমিকের মতো খাটালে সেই মাথা দিয়ে গবেষণা হবে না। অনেকেই যখন ভাবে আমি কিছু করছি না সেই সময়েই আমি সবচেয়ে ভালো কাজটি করছি। চিন্তাই সৃষ্টিশীল কাজের উৎস। লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়